গত (সোমবার, ৭ অক্টোবর) দুপুরে এদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন সাবরাং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম।
ফেরত আসা জেলেরা হলেন, শাহপরীরদ্বীপ জালিয়াপাড়ার আবদুর রহিমের ছেলে মো. আলম (২২), আবদুল মজিদের ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২৩) ও মো. সাইফুল মিয়া (১৭), রফিকুল ইসলামের ছেলে বোরহান উদ্দিন (১৯), চকরিয়ার খোরশেদ আলমের ছেলে মো. রাশেদ (২৪)।
ইউপি সদস্য আবদুস সালাম জানিয়েছিলেন, সোমবার তাদের ধরে নিয়ে গেলেও বিষয়টি জানাজানি হয় মঙ্গলবার দুপুরে। জেলেদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে একটি নৌকা যোগে নাফনদীতে মাছ ধরতে নামলে এদের অস্ত্রধারী আরাকান আর্মির সদস্যরা মিয়ানমারের দিকে নিয়ে যান। বিষয়টি বিজিবিকে অবহিত করা হয়েছিল।
লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, 'বিষয়টি জানার পর মিয়ানমারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জের ধরে মিয়ানমারের ওই অংশটি আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে। ফলে আরাকান আর্মির সদস্যরাই এদের ধরে নিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হয়েছিল।'
তিনি আরও বলেন, 'পরে মিয়ানমারের ওই পারে সক্রিয় থাকা সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশি ৫ জেলেকে ফেরত দিতে সম্মত হন।'
বিজিবির এ কর্মকর্তা বলেন, 'আরাকান আর্মির সাথে আলোচনার পর বুধবার সকালে বিজিবির একটি প্রতিনিধিদল নাফনদীর শূন্যরেখায় যায়। সেখানে আলোচনার পর ৫ জেলেকে ফেরত দিয়েছে আরাকান আর্মি।'
ফেরত আসা জেলেদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান, লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ।