দেশে এখন
0

নীতি-সহায়তা পেলে কসমেটিকস হবে সম্ভাবনাময় খাত

বাংলাদেশে কসমেটিকস পণ্যের চাহিদা বাড়লেও দেশিয়ভাবে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন পাড়েনি। ব্যবসায়ীদের দাবি, নীতি-সহায়তা পেলে এটি হবে সম্ভাবনাময় খাত। তবে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, বিদেশি মোড়কে দেশি পণ্য বাজারজাত করা যাবে না। ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে হবে মানসম্মত পণ্য নিয়ে।

সময়ের বিবর্তনে মানুষ হয়েছে সৌন্দর্য পিপাসু। নিজের যত্নে যুক্ত করেছে নানা প্রসাধনী। তাতে সারা বিশ্বে কসমেটিকসের বাজার দাঁড়িয়েছে সাত ট্রিলিয়ন ডলারে।

বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে ২০২৭ সালের মধ্যে এ খাতের প্রবৃদ্ধি হবে ১৬ শতাংশের বেশি। তবে চাহিদা আর জোগানের মধ্যে যেন বিস্তর ফারাক আছে। তাতে নকল পণ্যের ছয়লাপ সারাদেশে।

এই নকল পণ্যের উৎপাদন বন্ধ ও বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে ভোক্তা অধিদপ্তর ও অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টর্স অব বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে ব্যবসায়ীদের দাবি, ভালো মানের প্রসাধনী পণ্য তৈরি শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। তাতে দেশিয় প্রসাধনী পণ্য ব্যবহারের তাগিদ দেন ভোক্তাদের। সেই সাথে এখাতের পরিধি বাড়াতে সরকারের নীতি সহায়তা চান ব্যবসায়ীরা।

একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'দিন দিন বিদেশি প্রোডাক্টের প্রতি আমরা ডিপেন্ডেন্ট হয়ে যাচ্ছি। আমাদের কসমেটিকস ইন্ডাস্ট্রি কিন্তু খন উঠে আসছে। আমাদের উচিত হবে খন এটাকে প্রমোট করা।'

অন্য একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'আপনি যখন ভালো ক্রেতা হবেন, ভালো জিনিস নেবেন। প্রস্তুতকারকরা ভালো জিনিস তৈরি করবে। কিন্তু ভালো মার্কেট হওয়ার আগে যখন রিমার্কের মতো অরগানাইজেশন ভালো প্রোডাক্ট নিয়ে আসে এটা চ্যালেঞ্জিং।'

তবে চিকিৎসকরা মনে করছেন, শুধু নীতি সহায়তা নয় প্রয়োজন মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন। তাতে ত্বক যেমন সুস্থ থাকবে তেমনি বাড়বে রপ্তানি।

ডার্মাটোলজিস্ট ডা. শারমিন হক বলেন, 'বেশিরভাগই দেখা যায় যে স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করছে এবং ওখান থেকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমাদের দেশে মার্কেটের ভ্যালুটা বাড়াতে পারি। আর তা হচ্ছে গুণগত মানের পণ্য এবং আমরা যদি প্রোডাক্টগুলোকে ফরমুলেশন করে আমাদের স্কিন বুঝে প্রোডাক্টগুলোকে ব্যবহার করি তাহলে কিন্তু আমাদের স্কিনে বিভিন্ন ধরনের যে সমস্যাগুলো হয়, সেগুলো না হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।'

আর ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক আবদুল জলিল বলেন, বিদেশি মোড়কে দেশি পণ্য নয়। ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে হবে মানসম্মত পণ্য নিয়ে।

তিনি বলেন, 'এখানকার এনভায়রনমেন্টের সাথে কী ধরনের প্রোডাক্ট প্রয়োজন, সেটা রিসার্চ করে সে ধরনের প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট করতে হবে। তাহলেই সে প্রোডাক্ট এখানে চলবে। সেক্ষেত্রে আমাদের বিদেশি প্রোডাক্ট বিদেশি মুদ্র খরচ করে ইমপোর্ট করতে হবে না।

খাত সংশ্লিষ্টদের দাবি, ২০২৭ সাল পর্যন্ত এখাতে বাংলাদেশ রপ্তানি আয় হবে এক হাজার কোটি টাকা।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর