বাজার
অর্থনীতি
0

চিনি আমদানিতে শুল্ক ১৫ শতাংশ কমানোর আশ্বাস এনবিআর চেয়ারম্যানের

নিত্যপণ্য হিসেবে চিনি আমদানিতে ৫২ শতাংশ শুল্ক কর নেয়া হচ্ছে। ফলে বাজারে বাড়ছে চিনির দাম। এ অবস্থায় দাম সহনীয় রাখতে চিনি আমদানিতে শুল্ক কর ১৫ শতাংশ কমানো হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান।

দেশে বছরে চিনির চাহিদা প্রায় ২২ লাখ টন। যার প্রায় পুরোটাই আমদানি হয়। ফলে আমদানি কমলে আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট বাড়লে বা দেশীয় কোনো কারখানায় পরিশোধন বন্ধ থাকলে বেড়ে যায় দাম। সম্প্রতি বুকিং রেট বাড়ায় চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা। চিনি আমদানিতে সব মিলিয়ে শুল্ক ও কর ৫২ শতাংশ। আর এ খাত থেকে সরকার রাজস্ব পায় বছরে ৮ হাজার কোটি টাকা।

তবে চিনির ওপর আরোপিত শুল্ক কর অযৌক্তিক বলে মনে করছেন খোদ এনবিআর চেয়ারম্যান। তাই চিনি আমদানিতে শুল্ক-কর ১৫ শতাংশ কমানো হবে বলে জানান তিনি। চট্টগ্রামে চারটি কর অঞ্চলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান এনবিআর'র চেয়ারম্যান মো আব্দুর রহমান খান।

এনবিআর'র চেয়ারম্যান মো আব্দুর রহমান খান বলেন, 'আমি একজন নাগরিক হিসেবে এটা মানতে পারছি না যে চিনির উপর আমাদের ৫২ টাকা ট্যাক্স দিতে হয়েছে। তাই চিনির উপর শুল্ক-কর ১৫ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি।'

সভায় আয়কর ও কর পরিদর্শকদের দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে, করদাতাদের উপর জুলুম না করে ন্যায্যভাবে কর আদায়ের নির্দেশ দেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

রিটার্ন দাখিল সহজ ও ঝামেলামুক্ত করতে এনবিআর পূর্ণাঙ্গ অটোমেশনের জন্য কাজ করছে। অনলাইনে কর দিতে উদ্বুদ্ধ করতে চট্টগ্রামে একটি অনলাইন হেল্প ডেস্ক চালু করা হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট আদায়ে ইএফডি বা ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস ঠিকভাবে কাজ না করায় বিকল্প ব্যবস্থা চালু করা হবে বলেও জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।

সভায় আয়কর আইনজীবীরা আয়কর আইন-২০২৩ করদাতা ও রাজস্ব বান্ধব নয় অভিযোগ করে এর বিভিন্ন ধারা সংশোধনের দাবি জানান। চট্টগ্রামে করদাতার সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। বিপরীতে রিটার্ন দাখিল করেন মাত্র চার লাখ করদাতা।