নভেম্বরের প্রথম দিকে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান জরিমানাবিহীন রিটার্ন জমার সময় এবার খুব বেশি বাড়বে না। কিন্তু প্রত্যাশিত রিটার্ন জমা না পড়ায় চলতি করবর্ষে দুই দফায় আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ালো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। প্রথম দফায় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ও সবশেষ ২৪ ডিসেম্বরের এক আদেশে ব্যক্তি করদাতাদের জন্য সময় বাড়ানো হলো ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর কোম্পানির জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এনবিআরের হিসাব বলছে, বর্তমানে ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার ১ কোটি দশ লাখ। বিপরীতে ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রিটার্ন জমা পড়েছে ২৭ লাখ। এর মধ্যে অনলাইনে জমা পড়ছে প্রায় সাড়ে ৯ লাখ। আয়কর সংশ্লিষ্টরা বলছেন বাধ্যতামূলক করায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দেশের সব তফশিলি ব্যাংক, মোবাইল ফোন অপারেটর এবং বেশ কিছু বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনলাইনে রিটার্ন দিলেও স্বেচ্ছায় ই-রিটার্ন দিচ্ছেন না বাকিরা।
ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মনজুর হোসেন পাটোয়ারী বলেন, ‘গত বছর যে অবস্থা ছিল তার থেকে কিছুটা আপগ্রেড হয়েছে। এখানে যে দক্ষ জনবলের দরকার সেই জনবলের অভাব আছে।’
এদিকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এসে অনলাইনে রিটার্ন দিতে না পেরে অনেক করদাতা যোগাযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চলগুলোতে। সম্প্রতি কর অঞ্চল বাড়ানো এবং আয়কর ফাইল ট্রান্সফারের কারণে নতুন করে হিসাব মেলাতে হয়েছে কর অফিসগুলোতে। সব সমস্যা কাটিয়ে বর্ধিত সময়ে কাঙ্ক্ষিত রিটার্ন জমা পড়বে বলে প্রত্যাশা কর কর্মকর্তাদের।
কর অঞ্চল ৭ এর কর কমিশনার কাজী লতিফুর রহমান বলেন, ‘প্রথমদিকে আমাদের কিছুটা সমস্যা ছিল তা আমাদের যে ডাইনামিক টিম রয়েছে তারা সবসময় আপডেট করেছে। গতবারের থেকে এবার অনেক বেশি রিটার্ন সাবমিট হবে।’
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে ৯০ লাখের মতো টিআইএনের বিপরীতে রিটার্ন পড়েছিলো ৩০ লাখের কাছাকাছি। তবে ওই সময়ে অনলাইনে রিটার্ন জমা পড়েছিল ৪ লাখ। যা এ বছরের অর্ধেকেরও কম। দ্বিতীয় ধাপে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর পর বিগত করবর্ষে ৩৬ লাখ ৬২ হাজার করদাতা রিটার্ন জমা দেন। এবার এ সংখ্যা গতবারের তুলনায় বাড়বে বলে প্রত্যাশা এনবিআরের।