কট্টর জাতীয়তাবাদী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শিষ্য হিসেবে বিবেচিত সানায় তাকাইচিকে পরাজিত করে দলের নেতা হয়েছেন ইশিবা। জয়ী হলে জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতেন তাকাইচি।
ফুমিও কিশিদার উত্তরসূরী হতে লড়েছেন ৯ প্রার্থী। প্রথম পর্যায়ে ৯ প্রার্থীর মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করেন এই দু’জন। আজ রান অব ভোটে ২১৫ বনাম ১৯৪ ভোটে জয়ী হন ইশিবা।
টোকিওতে এলডিপির সদর দপ্তরে ভোটের ফল ঘোষণার পর ইশিবা হাসিমুখে চোখ থেকে চশমা খুলে ফেলেন। এরপর তার অশ্রুমাখা চোখ মুছে বারবার জাপানি কায়দায় মাথা নত করে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসা দলের সহযোগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সম্মান জানান ইশিবা।
শিগেরু ইশিবা বলেন, 'আমি মানুষের ওপর আস্থা রাখতে চাই। সাহসিকতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে সত্য বলতে চাই। এই দেশকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে চাই, যাতে আবারও সবাই হাসিমুখে এখানে বসবাস করতে পারেন।'
ইশিবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের কাছে ২০১২ সালে পরাজিত হয়েছিলেন। জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় দেশের নেতৃত্ব দেয়ার পর আততায়ীর হাতে নিহত হন আবে।
রক্ষণশীল এলডিপি দল বেশ কয়েক দশক ধরে দেশ শাসন করে এসেছে। পার্লামেন্টেও তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
আগামী মঙ্গলবার পার্লামেন্টে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হবেন ইশিবা।
৭০ এর দশকের পপ তারকাভক্ত ইশিবা দাবি করেন, কৃষিখাতের সংস্কারসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন।
অবসর সময়ে সামরিক মডেল নির্মাণ করেন ইশিবা।
এর আগে, ইশিবা সামরিক বাহিনীর বাজেট বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন এবং এশিয়ায় ন্যাটোর মতো একটি সামরিক জোট গঠনের বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন। এ বিষয়গুলো চীনকে সতর্ক করেছে বলে বিশ্লেষকরা দাবি করেন।