বিক্ষোভ মিছিল, সংঘর্ষ আর বাজারের শতাধিক দোকান পুড়ে যাওয়ার দুই দিন পরেও থমথমে পরিস্থিতি খাগড়াছড়ির দিঘিনালায়। অবরোধে দ্বিতীয় দিনের মতো অচল খাগড়াছড়ি। বন্ধ জেলা, উপজেলার দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল। স্থানীয়দের মধ্যে রয়েছে চাঁপা আতঙ্ক। বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দিঘীনালায় মামুনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় খাগড়াছড়ি সদর থানায় ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছে তার স্ত্রী।
জিয়াদ নামের এক ব্যক্তি জানান, এখানে এমন একটা পরিস্থিতি যেখানে যাত্রীরা না যেতে পারছে সাজেক, না পারছে ঢাকা ব্যাক করতে।
এদিকে ৪৬ ঘণ্টা পরে রাঙামাটি পৌর এলাকায় প্রত্যাহার করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। সহিংসতার ঘটনায় জুম্ম ছাত্র জনতার ব্যানারে ডাকা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি চলছে। একইসঙ্গে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘটে রাঙামাটি শহরে একমাত্র গণপরিবহন সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া অবরোধে সড়ক ও নৌপথ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পায়ে হেঁটে গন্তব্য যেতে হচ্ছে তাদের। অবরোধ ও পরিবহণ ধর্মঘটের দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল না করায় রাঙামাটির সাজেকে আটকা পড়েছে ১৫শ পর্যটক।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন জানান, রাঙামাটি ঐতিহ্যবাহী শহর। এখানে আমরা দীর্ঘদিন ধরে বাঙালি ও পাহাড়ি সম্প্রতির বন্ধনে একসাথে অবস্থান করছি।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক হাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, ‘দোকানপাট আমরা দেখছি কার কতটুকু ক্ষতি হয়েছে। আর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য আমরা একটা কমিটি করে দিয়েছি এবং কার কতটুকু ক্ষতি হয়েছে সেটা নিরূপণ করবে। নিরূপণ করার পরে আমরা সেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।’
এদিকে বান্দরবান থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ঢাকাগামীসহ বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে দূরপাল্লার সব বাস। এছাড়াও বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচিসহ ৭ উপজেলার সড়কেও বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।