দেশে এখন
0

দেশ পুনর্গঠন ও পাচারের অর্থ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন ড. ইউনূস

দেশ পুনর্গঠন ও সংস্কার কাজ ও পাচারের অর্থ ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন ঢাকায় সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদল। এছাড়া দলটি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে ২শ' মিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন এক বাংলাদেশ। নতুন এক সরকার ব্যবস্থা। নতুন করে আঁকা হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাথে উন্নত বিশ্বের কি ধরনের সম্পর্ক, তা দেখার অপেক্ষায় ১৮ কোটি মানুষ। ঠিক এসব আলোচনার মধ্যেই ঢাকায় মার্কিন প্রতিনিধি দল।

গত ৮ই আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফর।

আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রথমে মার্কিন প্রতিনিধি দলের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র সচিব ও অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ২০২১ সালে ডেভেলপমেন্ট অবজেকটিভ গ্র্যান্ট অ্যাগ্রিমেন্টের আওতায় ২০২ মিলিয়ন ডলার অর্থ ছাড় করার সিদ্ধান্ত হয়।

ইএসএআইডি সহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর বলেন, 'আমরা এই মাত্র একটি চুক্তি স্বাক্ষর করলাম যেটা ২শ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি, আমরা এই অন্তর্বতী সরকারের সাথে আলাপ করেছি, তাদের কথা শুনেছি। পাশাপাশি তাদের পরামর্শও দিয়েছি, এখন এই চুক্তির বিষয় আমরা তৈরি আছি, আমাদের নতুন এই চুক্তিতে অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যখাতে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি।'

এই চুক্তির আওতায় ২০২৬ সালের মধ্যে ৯৫৪ মিলিয়ন ডলার দেবে মার্কিন দাতা সংস্থা ইউএসআইডি। যার মধ্যে ৪২৫ মিলিয়ন ডলার আগেই দিয়েছিল দাতা সংস্থাটি। আর্থিক খাত সংস্কার ও তরুণদের অগ্রাধিকার দিয়ে এই সরকারের সাথে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৈঠকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ, জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেউদ্দিন আহমেদ।

এরপর ঠিক বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করে মার্কিন প্রতিনিধি দল। প্রায় ঘন্টাখানেক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠক করেন তারা। বৈঠক পর মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজে পৃথক দুটি পোস্টে জানানো হয়, বাংলাদেশ যে ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে চাইছে, সে প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।

পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বলেন, 'দুই দেশের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলেছি। ছাত্র জনতার চরম আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে অর্জিত নতুন এই বৈপ্লবিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সরকার যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সে সমস্ত পদক্ষেপ আমরা প্রতিনিধি দলকে অবগত করেছি। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে অন্তবর্তকালীন সরকারের সাথে কাজ করার একটি অঙ্গীকার করেছেন।'

পাশাপাশি বাংলাদেশের নবউদ্যমে প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়াকে পৃষ্ঠপোষকতা করবে বলেও জানিয়েছে দেশটি।