আগামী বছরের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করতে ব্যস্ত লিবারেল সরকার। একের পর এক উদার নীতি কঠোর করতে মরিয়া জাস্টিন ট্রুডোর প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় অস্থায়ী বিদেশি কর্মী কমিয়ে আনা হচ্ছে চলতি সেপ্টেম্বর থেকে।
২০২৩ সালে এক লাখ ৮৩ হাজারের বেশি অস্থায়ী বিদেশি কর্মী নেয় কানাডা, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৮৮ শতাংশ বেশি। মূলত কোভিডকালের পর লাখ লাখ কর্মী বিভিন্ন খাতে কাজের জন্য আসেন উত্তর আমেরিকার এই দেশে। যার লাগাম টানা জরুরি মনে করছে ট্রুডো সরকার।
এ বিষয়ে সরকার সংশ্লিষ্ট একজন জানান, অস্থায়ী কর্মী কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। যা আপাতত পাঁচ থেকে সাত শতাংশ। এছাড়াও স্থায়ী ও অস্থায়ী বাসিন্দাও কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
ভিজিটর ভিসায় এসে চাকরি নিশ্চিত করতে পারলে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করার সুযোগ ছিল এতোদিন। সাময়িক এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষের আগেই হঠাৎ তা বন্ধ হয়ে গেলো ।
মূল্যস্ফীতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, বর্তমানে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বেকারত্ব নতুন মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশব্যাপী তালিকাভুক্ত বেকারের সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। অভিযোগ রয়েছে, অভিবাসীদের জন্য স্থানীয়রা কাজ পাচ্ছেন না। আর অভিবাসীদের পাল্টা অভিযোগ, তারা যে কাজ করছেন, তার বেতন এখনও অনেক কম।
কানাডায় বসবসারত গবেষক অমিয় দাস বলেন, পড়াশোনা শেষ করার পর আমরা নতুন একটি জগতে প্রবেশ করবো। আমাদের অনেক পরিকল্পনা থাকবে। সেদিক বিবেচনায় যদি আমাদের মজুরি বাড়ানো হয় তাহলে অনেক উপকার হবে।’
এমন জটিল পরিস্থিতিতে জাস্টিন ট্রুডোর মন্ত্রিসভা পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর-এর সংখ্যাও কমিয়ে আনবে বলে জানিয়েছে। সরকারের লক্ষ্য কানাডায় অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা।
বর্তমানে যা ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। আদতে বেশিরভাগ কানাডিয়ান মনে করেন, তাদের সরকার প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত অভিবাসী নিয়ে এসেছে।