প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী মজিবর রহমান বলেন, 'মূলত আদিবাসী স্বীকৃতির নামে আলাদা রাষ্ট্র 'জুম্মলেন্ড' প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কতিপয় উপজাতীয় ও দেশিয় কুচক্রী মহল। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় সকল উপজাতি সম্প্রদায় প্রতিবেশি ভারত, মিয়ানমার ও চীন থেকে অষ্টাদশ শতকের দিকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে বসবাস শুরু করে। অথচ আদিবাসী হতে হলে ভূমি সন্তান হতে হয় এবং হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারণ করতে হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'পার্বত্য চট্টগ্রামে ৫৪ শতাংশ বাঙালিদের বসবাস হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন যাবৎ এ অঞ্চলের বাঙ্গালিরা বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। আমরা আর বৈষম্যের শিকার হতে চাই নাই, আমরা স্বাধীনভাবে থাকতে চাই।'
১৯০০ সালের পার্বত্য শাসনবিধি ও রাজার সনদ বাতিল, বাজার ফান্ড এলাকায় ব্যাংক ঋণ চালু করা, বিচারহীনতা, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি বন্ধ, শিক্ষা ও চাকুরি কোটাসহ সকল ক্ষেত্রে জনসংখ্যা অনুপাতে নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
এর আগে বান্দরবান সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে দলমত নির্বিশেষে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে পৌরসভার সামনে এসে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা জড়ো হয় এবং সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে মহাসমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের (পিসিএনপি) মহাসচিব আলমগীর কবির, মাওলানা আবুল কালাম, হাফেজ জাহেদ, আসিফ ইকবাল, রহিমা বেগম, খুরসিদা বেগম, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, সাংবাদিক সম্রাট, নাছিরুল আলম, রুহুল আমিনসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশ শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের মাগফিরাত কামনা ও বন্যার্তদের জানমাল রক্ষায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।