বন্যার পানি কমায় উত্তরবঙ্গসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে বাজারে আসতে শুরু করেছে সবজি। সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা।
আশেপাশের উপজেলার পাশাপাশি বগুড়া, চুয়াডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জ থেকেও চট্টগ্রামে আসে সবজি। বন্যার শুরুতে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় কাঁচা মরিচের দাম হাজার ছুঁই ছুঁই হলেও এখন নেমেছে তিন থেকে সাড়ে তিনশ' টাকায়।
ক্রেতাদের মধ্যে একজন জানান, বন্যার জন্য সবজির অনেক দাম ছিল এখন মোটামুটি ঠিক আছে। আগের থেকে একটু কমছে ।
বিক্রেতারা বলেন, ' গত সপ্তাহে কাঁচামরিচ ছিল ৬০০ টাকা এখন ২০০ টাকা আর টমেটো ছিল ৪০০ টাকা এখন ২০০ টাকা।'
বন্যার প্রভাবের বাইরে থাকা চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পেঁয়াজেরও দাম বেড়েছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া এই পণ্যের দাম এখন ৯০ টাকার উপরে। বেড়েছে ভারতীয় পেঁয়াজের দামও।
অন্যদিকে ১৫ টাকা বৃদ্ধির পর কেজিতে ৫ টাকা কমেছে আলুর দাম। ত্রাণের জন্য এ দুটি পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু, সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রতোরা।
দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা। দুই সপ্তাহ আগে ১৬০-১৬৫ টাকা কেজির ব্রয়লার মুরগি এখন ১৯০ টাকা। আর ১৩০ টাকার ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়।
মাছ ক্রেতারা জানানমুরগি ব্যবসায়ীরা জানান, বন্যায় মুরগি না আসার কারনে দামটা একটু বেশি ।
বন্যা ও বৃষ্টিতে অনেক স্থানেই ভেসে গেছে মাছের খামার। সেই সাথে অনেক স্থানে বন্ধ রয়েছে চাষের মাছ ধরা। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে।
কিছুদিন আগে বন্যা হওয়ায় বাজারে মাছ আসতে না পারায় দাম একটু বেশি ছিল।
মাছ ক্রেতারা জানান, বন্যার কারণে মাছের দাম একটু বেশি ছিল এখন পুকুরের মাছের দাম শীতল হয়েছে এবং সাগরের মাছের দাম ও শীতল আছে। বর্তমানে ইলিশের দাম মোটামুটি।
এদিকে ত্রাণের জন্য চিড়া, মুড়ি, গুড়, ডালসহ শুকনো খাবারের চাহিদা বাড়ায় কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এসব পণ্যেরও দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিতে ১৫-২০ টাকা। এ অবস্থায় বন্যা কবলিত এলাকায় প্রশাসনের তদারকির দাবি ভুক্তভোগীদের।