ওইদিন দুপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে করেন আনসার প্রতিনিধিরা। আশ্বাস দেয়া হয় দাবি মেনে নেয়ার। আশ্বাসের পরও আনসার সদস্যরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সচিবালয়ের মধ্যে জিম্মি করে রাখেন শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্য। দাবি মেনে নেয়ার পরও সচিবালয় এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ২ শতাধিক আনসার সদস্যকে হেফাজতে নেয় সেনাবাহিনী।
এরপর সেনাবাহিনী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সচিবালয় থেকে বের হন আটকে পড়া কর্মকর্তা কর্মচারীরা। দাবি-দাওয়া পূরণের আশ্বাস দেয়ার পরেও এমন অবস্থা সৃষ্টির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
পরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়করা জানান, হামলায় ৬০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আনসারদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। আহতদের বিনা খরচে চিকিৎসা দেয়ারও দাবি জানান তারা।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘এখন থেকে আনসারে রেস্ট প্রথা থাকবে না। এছাড়া তাদের অন্যান্য যে দাবি আছে সেগুলো পূরণে কমিটি করে দেয়া হচ্ছে। কমিটি আমাদের কাছে পাঠাবে। এরপর আন্তঃমন্ত্রণালয়ে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নিব।’
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ওই কমিটি মূলত এটা বিচার-বিশ্লেষণ করবে ও সুপারিশ করবে। সেখানে আনসার বাহিনীর যে সব সমস্যা রয়েছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং আমরা যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছাবো।’
আশ্বাসের পরও আনসার সদস্যরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সচিবালয়ে জিম্মি করে রাখেন শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
অন্যদিকে রোববার রাতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়করা জানান, আহতদের বিনা খরচে চিকিৎসা দিতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে কেউ বিতর্কিত করতে চাইলে ছাত্র-জনতা তা প্রতিহত করবে।
আনসারের ডিজি জানিয়েছেন, বিশৃঙ্খল আন্দোলনকারীরা অঙ্গীভূত আনসার। যাদের সাথে ব্যাটেলিয়ান আনসারের কোন সম্পর্ক নেই। এদিকে, সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনার সামনে সভা-সমাবেশ মিছিল, শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি।