প্রবল বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত হয়ে আছে ভারত। দেশটির রাজধানী দিল্লিসহ উত্তর প্রদেশ, বিহার, কেরালা, কাশ্মীর, গুজরাট এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। টানা ৭২ ঘণ্টার প্রবল বৃষ্টিতে ত্রিপুরা রাজ্যে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন আট জেলার ৩৪ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা। আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে এরইমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। গেল তিন দশকের মধ্যে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ত্রিপুরাবাসী।
ভারি বৃষ্টিতে ত্রাণ সরবরাহ ও উদ্ধার কাজ চালানো যাচ্ছে না। পানির তোড়ে ভেসে গেছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। রাজধানী আগরতলাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ আছে রেল যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ পরিষেবা। বিপর্যয় মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয়েছে ২৫০ এর বেশি কুইক রেসপন্স টিম ও স্বেচ্ছাসেবক। এখনও জারি রয়েছে সতর্কতা।
রাজ্যের প্রধান চারটি নদী খোয়াই, মহুরি, ধলাই ও হাওড়ার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উদয়পুরের গোমতী নদীর পানির প্রবাহ বিপদসীমা ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৩১ বছর পর মধ্য ত্রিপুরার বিশাল জলাধারের ডুম্বুর বাঁধের তিনটির মধ্যে একটি গেট খুলে দেয়া হয়েছে। এর জেরে প্লাবিত হয়েছে বাংলাদেশের বেশকিছু অঞ্চল।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম ও ত্রিপুরা এই চার রাজ্যে আগামী দুই দিন ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটি আবহাওয়া অফিস। এছাড়াও, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, কেরালা, কাশ্মীর ও গুজরাটের কিছু অংশে আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে সিকিমে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভূমিধসে ভেঙে পড়েছে তিস্তা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। নাগাল্যান্ডে কয়েকটি মহাসড়ক প্লাবিত হওয়ায় ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। ভূমিধসের আশঙ্কায় মিজোরামে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে পাহাড়ি অঞ্চল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।