গত কয়েকদিন ধরেই টানা বৃষ্টিতে রাঙামাটির সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ১০টি স্থানে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়েছে।
বেতারকেন্দ্র, আরশিনগর, মানিকছড়ি, দেপ্পোয়াছড়ি, শালবাগান, কলাবাগান অংশে মাটি ধসে সরু হয়ে পড়ে সড়ক। এছাড়া রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কের ৫টি স্থানে তৈরি হয়েছে গর্ত। এতে ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল সড়ক যোগাযোগ। এ অবস্থায় সড়ক দু'টিতে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে অসংখ্য যানবাহন ও যাত্রী।
২০১৭ সালের ১৩ জুন ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসে রাঙামাটিতে ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জন প্রাণ হারায়। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঝুঁকিমুক্ত করতে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সড়ক ব্যবহারকারীরা।
একজন সিএনজি চালক বলেন, 'আমরা গাড়ি চালাচ্ছি কিন্তু আমাদের মনের ভেতর অনেক ভয়ভীতি কাজ করে যে কখন যেন রাস্তার ওপর পাহাড় ধসে পড়ে। এগুলো নিয়ে অনেক রিস্কে গাড়ি চালাচ্ছি আর কি।'
রাঙামাটির এই সড়কটি উন্নয়নে ২০২০ সালে নেয়া হয় ২৪৯ কোটি টাকার প্রকল্প। কিন্তু এ থেকে তেমন সুফল মেলেনি। তবে সড়ক যোগাযোগ সচল রাখতে মাটি অপসারণ ও মেরামত কাজে জোর দেয়ার কথা জানান রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা।
তিনি বলেন, '৫টি জায়গায় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তায় আমাদের মেরামত কাজগুলো চলছে। যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা হলে আমরা যেন দ্রুত মাটি সড়াতে পারি আমরা সে ব্যাপারে কাজ করছি। সড়কের কিছু হলেও যেন আমরা দ্রুত মেরামত করতে পারি, সেজন্য আমাদের তিনটা টিম কাজ করছে।'
২০১৭ সালের ১৩ জুন ভারি বর্ষণে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের একটি অংশ ধসে গিয়ে একটানা ৩৩ দিন সারাদেশের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল রাঙামাটি। এ সময় জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের সরবরাহ বন্ধ হয়ে দাম বাড়ে কয়েকগুণ।