রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও দলের প্রয়োজনে আবারও এগিয়ে এলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। উচ্ছ্বসিত জনতা করতালির মাধ্যমে মঞ্চে স্বাগত জানায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্টকে।
মঞ্চে উঠেই বাইডেনকে প্রশংসায় ভাসান ওবামা। বলেন, মার্কিন জনগণের সুন্দর আগামীর জন্য কামালা হ্যারিসের বিকল্প নেই। এছাড়াও, দীর্ঘ আধা ঘন্টার বক্তৃতায় রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচনাও করেন ওবামা।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ‘৭৮ বছর বয়সী একজন ধনকুবের ক্ষমতা হারানোর পরও তার ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে চিৎকার চেচামিচি বন্ধ করেননি। তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার বলে ক্রমাগত অভিযোগ করে গেছেন। দিন দিন তার অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। এখন তিনি কামালাকে মোকাবিলা করতেও ভয় পাচ্ছেন।’
এর আগে মঞ্চে এসে কামালার জন্য কৃষ্ণাঙ্গদের কাছে ভোট চান সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা। এরপরই ট্রাম্পকে সরাসরি আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, বছরের পর বছর ধরে ট্রাম্প মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সমর্থন কাড়ার চেষ্টা করছেন। ট্রাম্পের সময়ে যোগ্য ও উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার পরও বহু কৃষ্ণাঙ্গের চাকরি হয়নি বলেও অভিযোগ করেন মিশেল।
এদিন, ডেমোক্রেটিক পার্টিকে উজ্জীবিত করতে সম্মেলনে আসে তরুণ প্রজন্মের একটি দল। যেখানে ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ও জিমি কার্টারের নাতির মতো তরুণেরা। কামালার মধ্যে নিজেদের পূর্বপুরুষের ছায়া খুঁজে পেয়েছেন বলেও জানান তারা। একইসঙ্গে চমক হিসেবে উপস্থিত হন ট্রাম্পের দল ছেড়ে আসা বেশ কয়েকজন সমর্থক। ট্রাম্পের সময় হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারির দায়িত্বে থাকা স্টেফানি গ্রিশাম বলেন, ট্রাম্পের কোনো নীতি-নৈতিকতা নেই।
সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক সুমারও কামালার হ্যারিসের ওপর ভরসা রাখতে চান। বেশ কয়েকজন সিনেট নেতার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য ট্রাম্প মোটেও যোগ্য ব্যক্তি নয়।
এদিকে, সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনেও উঠে আসে গাজার চলমান সংঘাত ইস্যু। এদিন সম্মেলনে দেয়া ভাষণে গাজার চলমান সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানান মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স।
মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেন, ‘দেশ এবং দেশের বাইরে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আমাদের সব শক্তি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। গাজায় চলমান ভয়াবহ যুদ্ধের দ্রুত অবসান ঘটাতে হবে। জিম্মিদের মুক্ত করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির কার্যকর করতে হবে।’
এদিনও সম্মেলনস্থলের বাইরে অব্যাহত ছিল ফিলিস্তিনপন্থিদের যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ। সম্মেলনস্থল থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে শিকাগোতে ইসরাইলি কনস্যুলেটের বাইরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে ধরপাকড়।