কর্মস্থলে আসেন না ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামও। আত্মগোপনে চলে গেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত বেশিরভাগ কাউন্সিলর। তাদের কার্যালয় বন্ধ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সেবা।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে এখন আর এমন দৃশ্য চোখে পড়ে না। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর বলছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ৫ আগস্টের আগেই দেশ ত্যাগ করেছেন।
আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম দেশে থাকলেও সশরীরে অফিস করছেন না। তবে ফোনে অফিসের কাজগুলো নিয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মেয়রদের মতো প্রায় একই অবস্থা ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের। আওয়ামী লীগ সমর্থিত বেশিরভাগ কাউন্সিলরই আত্মগোপনে থাকলেও কারো করো বিরুদ্ধে রয়েছে বিদেশে পাড়ি জমানোর খবর।
দক্ষিণ সিটিতে সাধারণ কাউন্সিলের পদ ৭৫টি। এর মধ্যে ১০-১২ জন কাউন্সিলর দেশে আছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বাদবাকি আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলররা আছেন আত্মগোপনে।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, হাজিরার ব্যবস্থা না থাকায় এই মুহূর্তে কতজন কাউন্সিলর অফিস করছেন তার সঠিক কোনো তথ্য নেই।
যদিও আওয়ামী লীগ সমর্থিত বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে বন্ধ পাওয়া গেছে অফিস। এতে ব্যাহত হচ্ছে সেবা। তবে চালু আছে মশক নিধন ও বর্জ্য অপসারণের কাজ।
এদিকে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলররা আত্মগোপনে থাকলেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি সমর্থিত কিংবা সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন এমন কাউন্সিলররা।
ডিএসসিসর ৫৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মীর হোসেন মীরু বলেন, ‘স্বাধীনভাবে কাজ না করতে পারার কারণে জনগণ কিছু সেবা থেকে অবশ্যই বঞ্চিত হয়েছে। বর্তমানে সেগুলো পূরণ করে দেয়া হবে। সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে বাজেটের বাইরে আমরা কোনো সুযোগ সুবিধা পাইনি। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলররা প্রচুর সুবিধা পেয়েছে। আমার মতে ৫০ জন কাউন্সিলরই উধাও।’
এমন পরিস্থিতিতে কার্যালয়ে অনুপস্থিত থাকা সিটি কর্পোরেশন মেয়র ও চেয়ারম্যানদের তথ্য চেয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
কার্যালয়ে উপস্থিত না থাকলে বিধি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়ারও কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। পাশাপাশি যে সকল পৌরসভায় মেয়র অনুপস্থিত, সে সকল পৌর সভার নাগরিক সেবা অব্যাহত রাখতে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়ে আদেশ জারি করেছে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়।