কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বিচারের দাবিতে ১০ দিন ধরে রাজপথে সহকর্মীসহ বিভিন্ন শেণি পেশার মানুষ। এর মাঝেই আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট ৪২ চিকিৎসককে শনিবার বদলির নির্দেশ দেয় রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যার দায়িত্বে ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে জনরোষের মুখে অবশেষে, আন্দোলনকারীদের কাছে নত হবার পথ বেছে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ ঘণ্টার আগেই প্রত্যাহার করা হয়েছে নির্দেশনা। স্বাস্থ্য সচিব জানান, প্রক্রিয়াটি রুটিন বদলি হলেও এটি প্রত্যাহার করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই।
একই সঙ্গে রাতে কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ‘রাত্তিরের সাথী’ নামে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা জানান, নারীদের ডিউটি ১২ ঘণ্টায় নামিয়ে আনা হবে। যতটুকু সম্ভব কমিয়ে আনা হবে নাইট ডিউটি। কর্মস্থলে থাকবে সিসিটিভি সুবিধা, সঙ্গে থাকবে অ্যাপ সাপোর্ট।
বিচারের দাবিতে রাজপথে থাকা চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ দিয়েছেন নিহত নারী চিকিৎসকের পরিবার। জড়িতদের ছাড় দিতেই ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে।
নারী চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ের ধর্ষক ও হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সে আত্মহত্যা করেনি।’
মা বলেন,‘যখন নির্যাতিতার মা দ্বিতীয়বার কল দেয়, তখন বলা হয় ডাক্তাররা পরিস্থিতি দেখছে। তারাই পরিস্থিতি জানাতে পারবে। তৃতীয়বার পরিবারকে হাসপাতালে যেতে বলা হয়। তখন আমাদের বলা হয় মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
তৃণমূলকে চাপে রাখতে কোনো পথই বাদ রাখছে না বিজেপি। প্রতি ২ ঘণ্টা পর পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জানাতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
অন্যদিকে আর জি কর হাসপাতালের চারপাশে ১৬৩ ধারা জারি করেছে কলকাতা পুলিশ। এতে আগামী ১ সপ্তাহ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে গণজমায়েত।
সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। রবিবার এক অভিযুক্তের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে গোয়েন্দা সংস্থাটি।