২৬ বছর প্রবাস জীবনের পর সিলেটের রিকাবীবাজারে ২০১২ সালে নিত্যপণ্যের ব্যবসায় নামেন হাজী আব্দুল কাইয়ুম নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি জানান, চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও সংকটে ব্যবসায় ক্ষয়ক্ষতির কথা। বলেন, 'একদিন দোকান বন্ধ থাকলে ১৫০০ টাকা ক্ষতি হয়। ২০ হাজারের উপর দোকান ভাড়া। কারেন্ট বিল ৫ হাজার টাকা। আমরা চাই সিন্ডিকেট ভেঙে যাক।'
সহিংসতা, কারফিউ এবং নানা অরাজকতার আতঙ্কে দোকান পাট বন্ধ ও নিত্যপণ্যের সরবরাহ না থাকায় বিপাকে সব ধরনের ব্যবসায়ীরা।
সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই যেমন নতুন করে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব করছে দেশের সাধারণ মানুষ- তেমনি নির্বিঘ্নে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদেরও।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মুজিবুর রহমান মিন্টু বলেন, 'আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। ভয়ে সিলেটের বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দোকান খুলছে না। এই ভয়টা দূর করাই নতুন সরকারের আমাদের প্রত্যাশা।'
দু'সপ্তাহে অন্তত কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি- সরকারকে ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াতে হবে বলে জানান সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট এহতেশামুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, 'একজন ব্যবসায়ী যেন নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারে এবং এর পরিবেশ যেন ঠিক থাকে এটাই আমাদের চাওয়া।'
নতুন বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হলে ব্যবসায়ীদের জানমাল, পণ্য পরিবহন ও বিপণন সুরক্ষিত করতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।