সারজিস বলেন, 'জনবিপ্লবের বিপরীতে যে প্রতিবিপ্লবের সম্ভাবনা হতে পারে তা কর্মসূচি ছিল, স্পেসিফিক কোনো জায়গায় কর্মসূচি ছিল না। ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরসহ বিভিন্ন জায়গায় যে ঘটনা ঘটেছে সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত। যেটা প্রত্যাশিত নয়। কথা বলার অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে যে গণবিপ্লব ঘটেছে সেটার বিপরীতে যা ঘটছে সেটা ঠিক না। এরকম ঘটনার সাথে আমাদের কেউ যুক্ত আছে নাকি সেটা আমরা খুঁজছি। এরকম কাউকে পেলে আমরা তাকে আমাদের কমিটি থেকে প্রত্যাহার করবো। যারা এরকম করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আওয়ামী লীগ যা করেছে সেই জিনিস যদি আমরা করি সেটা কেউ মেনে নেবে না।'
তিনি বলেন, 'কেউ যদি ধানমণ্ডি-৩২ এ শ্রদ্ধা দিতে চায় সেটা তার অধিকার, তাকে কেউ বাধা দিতে পারবে না। বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে কথা বললে যাদের অবদান আছে তাদের সবাইকে সম্মান দিতে হবে। সমালোচনার পাশাপাশি সবাইকে তার প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে।'
ছাত্ররা কোনোকিছুর অথরিটি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'কোনো আবাসিক হোটেল, হোস্টেল, রাস্তায় ছাত্ররা কোনো কিছু চেক করতে পারে না। ছাত্ররা কোনো কিছুর অথরিটি না। তারা সর্বোচ্চ প্রেশার গ্রুপ হিসাবে থাকতে পারে। আবারও বলছি, আমরা কোনো অথরিটি নই, আমরা বিভিন্ন জায়গায় প্রেশার গ্রুপ হিসাবে তৈরি করছি।'
নতুন করে কোথাও কোনো সমন্বয়ক দেয়া হয়নি জানিয়ে সারজিস বলেন, '৫ আগস্টের পর সারাদেশে নতুন করে আর কোনো সমন্বয়ক দেয়া হয়নি। তবে, অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে অনেকে নিজেদের সমন্বয়ক দাবি করছেন। কিন্তু আমরা কোনো সমন্বয়ক দেইনি ৫ আগস্টের পর।'
প্রতিবিপ্লবের বিষয়ে তিনি বেলন, 'দেশের বাইরে থেকে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মাধ্যমে প্রতিবিপ্লব করার পরিকল্পনা এখনও আছে। যে তথ্য আমাদের কাছে আছে। আর ১৪ আগস্ট ও ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ বিভিন্ন ছদ্মবেশী হিসাবে ৩২ নম্বরে ছিল।'
রাষ্ট্রীয় শোক পালনের বিষয়ে সারজিস বলেন, '১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এর জন্যে আমরা শোক পালন করবো না। রাষ্ট্রীয়ভাবে ১৫ আগস্ট শোক পালন করা যেতে পারে না।'
শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে আহ্বান জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক।