তিনি লিখেন, ‘আন্তরিক দুঃখপ্রকাশ’ ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে আমার দেয়া বক্তৃতার দু'টি অংশ নিয়ে আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা লক্ষ্য করছি। প্রথমত, আমি বলতে চেয়েছিলাম যে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনেক সময় রাজনীতির অনেক বিষয় নিয়ে মাথা ঘামায়নি কেননা ফ্যাসিবাদের আমলে সে পরিবেশ ছিল না। কিন্তু অসাবধানতাবশত বলে ফেলেছি সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনেক সময় রাজনীতির 'র' নিয়েও মাথা ঘামায় না।
তিনি উল্লেখ করেন, আমি আমার বক্তব্যে অসাবধানতাবশত এ বাক্যটি বলেছি। আমি এ বাক্য দ্বারা কখনোই সাধারণ শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সচেতনতা বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সচেতনতা নিয়ে কখনোই প্রশ্ন তুলিনি এবং আমি আমার পুরো রাজনৈতিক জীবনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে এরকম মনোভাব কখনও কোথাও পোষণ করিনি। বরং আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্ট ধারণ করি এবং আজীবন তা ধারণ করার জন্য বদ্ধপরিকর।
দুঃখপ্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও আমার এই কথায় কেউ মনঃক্ষুণ্ন হয়ে থাকলে তাদের প্রতি আমি আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।
এছাড়া জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানকে 'তথাকথিত আন্দোলন' বলার বিষয়ে তিনি লিখেন, দ্বিতীয়ত, বক্তব্যের একটি পর্যায়ে 'তথাকথিত' শব্দটি অনেকটা অসাবধানতাবশত 'জুলাই-আগস্টের আন্দোলন' কথাটির আগে আমি উচ্চারণ করেছি। এই বিষয়ে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। কারণ এ বিষয়ে বক্তব্য রাখার সময় আমার আরও বেশি সচেতন হতে হবে। আমার অনাকাঙ্ক্ষিত এই কথাটি সেই আবেগের জায়গায় যদি আঘাত দিয়ে থাকে আমি সবার কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
রাজনীতির বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন, আমি আশা রাখবো আমরা সকলে মিলে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে আরও অধিক পরিমাণে রাজনীতি সচেতন হবো এবং গঠনমূলক সমালোচনা ও তার যুক্তিযুক্ত জবাবের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাজনীতির সুস্থ চর্চাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
প্রসঙ্গত, এর আগে সোমবার বিকেলে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানকে 'তথাকথিত অভ্যুত্থান' বলে মন্তব্য করলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।