বিল অঞ্চল হিসেবে খ্যাত দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ছোট জেলা নড়াইল। এ জেলার শতকরা ৮২ জন মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বছরের পর বছর ধরে এ জনপদের হাজারো কৃষক ধান, গম, সরিষাসহ পাটের আবাদ করেন।
হাজারো কৃষকের মধ্যে তেমনই এক প্রান্তিক কৃষক নড়াইল সদর উপজেলার ধুন্দা গ্রামের আব্দুল ওহাব শেখ। পঞ্চাশ বছর ধরে পাটের আবাদ করেন তিনি। এবছর ১৬ কানি জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে খালে ও বিলে পানি কম থাকায় শেষ সময়ে পাট পচাতে পড়েছেন বিপাকে।
ওহাব শেখের মত হাজারো প্রান্তিক চাষি ব্যস্ত পাট থেকে সোনালী আঁশ প্রস্তুতে। পানি কম থাকায় তারাও পড়ছেন সমস্যায়। বিলের জমি থেকে পাট কাটার পঁচানোর জন্য সেই পাট নিতে হচ্ছে এক থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে। গরুর গাড়ি অথবা ঘোড়ার গাড়িতে বহন করে বিভিন্ন জলাশয়ে অথবা নদীতে নিতে গুণতে হচ্ছে বাড়তি খরচ।
এবছর মৌসুমের শুরুতে ২৮শ' থেকে তিন হাজার টাকা দরে পাট কেনাবেচা হলেও বর্তমানে প্রতিমণ পাটের দাম কমেছে চার থেকে পাঁচ শত টাকা।
বর্তমানে পাটের দাম কিছুটা কম বলে স্বীকার করেন স্থানীয় এই কৃষিবিদ। বললেন, পাটের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারি ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নড়াইল কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: আশেক পারভেজ জানান, 'যেহেতু এবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুব কম। বিভিন্ন খালে যে পরিমাণ পানি থাকার কথা সে পরিমাণ পানি নেই। তাই দূরবর্তী বিভিন্ন খালে কৃষকরা নিয়ে যাচ্ছেন'।
জেলায় এ বছর পাটের আবাদ হয়েছে ২৩ হাজার ৪ শত ৩০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার থেকে আবাদ কম হয়েছে চার শত সত্তর হেক্টর জমিতে। জেলায় এবার পাটের আবাদ হয়েছে ২৩ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ কম হয়েছে ৪৭০ হেক্টর জমিতে।