ন্যায্য মূল্যে না পেয়ে লোকসান গুণছেন চাষিরা
পাটের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না ফরিদপুরের কৃষকরা। একদিকে সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায় কমেছে উৎপাদন, অন্যদিকে খরচ বেড়েছে চাষের উপকরণের। এতে পাটের ন্যায্য মূল্যে না পেয়ে লোকসান গুণতে হচ্ছে স্থানীয় চাষিদের।
মৌসুমের শুরুতে কমেছে পাটের দাম
চলতি পাট মৌসুমের শুরুতে নড়াইলে বৃষ্টি হয়েছে কম। সেচের বাড়তি খরচ নিয়েই আবাদ করেন কৃষকরা। পাট কাটার পর জাগ দিচ্ছে বিভিন্ন জলাশয় অথবা নদীতে। এখানেও বাড়ছে ব্যয়। পাট জাগ দিতে প্রতি একর জমিতে বাড়তি খরচ হচ্ছে অন্তত ১০ হাজার টাকা। তার ওপর বাজারে পাটের দাম কম থাকায় কৃষক লাভের মুখ দেখবেন কি-না তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।
ফরিদপুরে পানির অভাবে পাট জাগ দেয়া নিয়ে সংকটে চাষিরা
ফরিদপুরে মোট কৃষি জমির ৭৫ ভাগে পাট চাষ হয়েছে। তবে দাবদাহ ও প্রয়োজন অনুযায়ী পানি না পাওয়ায় গাছের বৃদ্ধি আশানুরূপ হয়নি। আবার পাট কাটার মৌসুম হলেও জলাশয়ে পানির সংকটে জাগ দেয়া নিয়েও সংকটে চাষিরা। এতে গেলো মৌসুমের তুলনায় পাট চাষের পরিধি বাড়লেও দেখা দিয়েছে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা। এর সাথে উৎপাদন ব্যয় বাড়ায় লাভের মুখ দেখা নিয়ে কৃষকের মনে সংশয়।
১০ বছরে নরসিংদীতে পাট চাষ কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ
গত ১০ বছরে নরসিংদীতে পাট চাষ কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। পাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়াসহ বিভিন্ন সংকটে পাটের আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। তবে, মন্ত্রণালয়ের দাবি, পাটের সুদিন ফেরাতে কাজ চলছে।
গরমের পর বৃষ্টিতে ফরিদপুরের পাট চাষে স্বস্তি
তীব্র তাপপ্রবাহের পর বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে ফরিদপুরের পাট চাষিদের মাঝে। তবে দীর্ঘ সময় গরমে পুড়ে গেছে গাছের পাতা, পোকার আক্রমণে ক্ষতির মুখে ছিল চারা গাছগুলো। তবে বৃষ্টির কারণে সতেজতা ফেরায় কমেছে বাড়তি সেচ খরচ। এতে জেলার কৃষকদের সাশ্রয় কয়েক কোটি টাকা।