মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের জাবরা গ্রাম। এখানকার অন্তত ২ শতাধিক পরিবারে আয়ের প্রধান উৎস বানা তৈরির কাজ। বানা হচ্ছে বাঁশ দিয়ে তৈরি একধরনের বাঁধ। খাল-বিল ও ঘের-পুকুরের মাছ সংরক্ষণে এই বাঁধ ব্যবহার হয়। এছাড়াও পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ বিভিন্ন ফসল সংরক্ষণেও ব্যবহার হয় এটি। মাটিতে বিছিয়ে এর ওপর পেঁয়াজ রাখলে দীর্ঘ দিন ভালো থাকে। এ কারণে স্থানীয়ভাবেও এর চাহিদা বেশ। সরবরাহ হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। চাহিদার সঙ্গে বাড়ছে বানা তৈরি এবং সরবরাহ।
বানা তৈরির একজন বলেন, ‘১৫ বছর ধরে এই কাজ করি। সংসারের পাশাপাশি অবসর সময়ে এই কাজ করে থাকি।’
পুরুষের পাশাপাশি পরিবারের নারী সদস্যরাও বানা তৈরির কাজ করেন। উপার্জন করেন বাড়তি কিছু অর্থ। অবসর সময়ে কাজ করে শিক্ষার্থীরাও। আকারভেদে প্রতিটি বানা বিক্রি হয় ৫শ' থেকে ১৮শ' টাকায়।
গ্রামীণ এই কুটির শিল্পের সার্বিক সহায়তার কথা জানান স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা।
মানিকগঞ্জ ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, 'এই কাজের সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের সরকারিভাবে সুযোগ সুবিধার জন্য উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।'
প্রায় ৩ যুগ আগে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জাবরা গ্রামের মাদারী রাজবংশী নামে এক ব্যক্তির হাত ধরে শুরু হয় বানা তৈরি। বর্তমানে গ্রামটির ২ শতাধিক পরিবার প্রতিদিন নানা আকারের ৫০ থেকে ৬০ পিস বাঁশের বানা তৈরি করেন। বানা তৈরি ও বিক্রিকে কেন্দ্র করে প্রতিমাসে এই গ্রামে লেনদেন হয় প্রায় ২৫ লাখ টাকার।