জ্বালানি তেল নির্ভর সৌদি আরবের অর্থনীতি এখন ঝুঁকছে তেল বহির্ভূত অন্যান্য খাতে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ও ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি সরকার। এতে পর্যটন, বিনোদন ও বিলাস জাতীয় পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে দিন দিন। এসব সুবিধা কাজে লাগিয়ে সৌদি আরবে সম্ভাবনায়ময় খাত হয়ে দাঁড়াচ্ছে পারফিউমের বাজার। আমদানির পাশাপাশি বড় অঙ্কের সুগন্ধি সামগ্রী রপ্তানি করছে উপসাগরীয় অঞ্চলের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির এই দেশ।
এ খাতে জড়িত ব্যবসায়ীদের আশা, আগামী এক দশকে সৌদিতে পারফিউমের বাজার দ্বিগুণ হবে। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, বাজারের গতিপ্রকৃতি অনুসারে ২০৩২ সালের মধ্যে সৌদিতে পারফিউম খাতের বাজারমূল্য দাঁড়াবে ২৮০ কোটি মার্কিন ডলারে। গত বছর ১১ কোটি মার্কিন ডলারের পারফিউম রপ্তানি করে সৌদি আরব। সম্প্রতি, দেশটির বিলাসী পণ্যের বাজারের বড় অংশ দখল করে আছে সুগন্ধি সামগ্রী। যার মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের পারফিউম।
গবেষণা সংস্থা পিঅ্যান্ডএস ইন্টেলিজেন্সের মতে, সৌদির পারফিউমগুলো ভালোমানের উপাদান দিয়ে তৈরি। স্থানীয়দের মধ্যে দিন দিন বাড়ছে সুগন্ধি ব্যবহারের প্রবণতা। ভালো গুণ ও মানের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারেও বাড়ছে সৌদির পারফিউমের কদর।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সৌদি আরবের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে সুগন্ধি ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্ব আছে। মূলত ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে নামি-দামি ব্র্যান্ডের পারফিউম আমদানি করে সৌদি আরব। এগুলোর প্রধান ক্রেতা বিদেশি পর্যটকরা। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পারফিউমও আকৃষ্ট করছে তাদের। পারফিউম তৈরি ও বোতলজাত করা কোম্পানির নিবন্ধনের তালিকাও দীর্ঘ হচ্ছে সৌদি আরবে।