দেশে এখন
0

কোটা আন্দোলন ইস্যুতে কাদের-ফখরুলের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য

চলমান কোটা কোটা আন্দোলন ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন। কাদের বলেন, বিদেশে বসে দেশবিরোধী অপশক্তিকে লেলিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের উস্কে দেয়ার পাশাপাশি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করছে। এদিকে মির্জা ফখরুল বলেছেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে দমন করার চেষ্টা করছে সরকার।

কোটা সংস্কার দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে সরব বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

চলমান এ আন্দোলন নিয়ে প্রতিনিয়তই প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। পক্ষে-বিপক্ষে নানা মন্তব্য করছেন তারা।

লন্ডনে পলাতক আসামি তারেক রহমান কোটা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিদেশে বসে দেশবিরোধী অপশক্তিকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখনো গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলমান আছে। নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার জন্য নানান চক্রান্ত চলছে। আমরা ধৈর্য ধরছি, এর অর্থ আমরা দুর্বল নই। সময় মতো সবকিছুই দেখবেন।'

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, 'বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ অসম্মান করলে মেনে নেয়া হবে না। সরকার আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। রায় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিবে।'

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী কোটা নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যারা রাজাকারের পক্ষে স্লোগান ও নেতৃত্ব দিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

এদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাহিনী দিয়ে দমন করার চেষ্টা করছে সরকার। হাসপাতালে গিয়ে কাউকে মারধর করা ইতিহাসের জঘন্যতম ঘটনা। সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের মাধ্যমে হামলা সংঘটিত হচ্ছে।'

উল্লেখ্য কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর ২০২১ সালে ওই প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল। গেল ৫ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট। রায়ে পুনরায় কোটা বহাল রাখার আদেশ দেয় উচ্চ আদালত।

এরপর আন্দোলনের মুখে গেল ১০ জুলাই কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। এরপর গেল ১৪ জুলাই ২০১৮ সালের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে উচ্চ আদালত।