শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কমপ্লেক্স এখন সুনসান নীরব। দেয়ালে কর্মবিরতির ব্যানার। দুদিন ধরে বন্ধ আমদানি পণ্য খালাস। অথচ প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার আমদানি চালান হয় এখানে। রাজস্ব আদায় হয় ত্রিশ কোটির উপর।
এতোদিন কুরিয়ারের মাধ্যমে দেশে আসা পণ্য খালাসের কাজ করতো সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। কিন্তু এনবিআরের নতুন আইনে রাখা হয়নি কোন মধ্যস্বত্বভোগীদের জায়গা। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নয় সরাসরি পণ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছাবে সংশ্লিষ্ট এক্সপ্রেস প্রতিষ্ঠানগুলো।
এনবিআরের জারি করা এস আর ও ২০৭ আইনটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের স্বার্থক্ষুন্ন করছে দাবি করে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। ক্ষুব্ধ কর্মীরা অবস্থান নেয় ঢাকা কাস্টমস হাউজের সামনে।
নতুন এই আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা তাদের। বলছেন, এই আইন ১০ হাজার কর্মীকে বেকার করবে।
ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, 'আমাদের ২০৭ ধারা বাতিল করতে হবে। সরকার যেভাবে চায় সেভাবেই আমরা কাজ করে দিব। কিন্তু আমাদের মতো করে কাজ করতে দিতে হবে। এই আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ কর্মবিরতি চলবে।'
পণ্য দ্রুত খালাস করার লক্ষ্যেই নতুন এই আইন, কমবে ভোগান্তিও। তাই দেশের স্বার্থেই আন্দোলন প্রত্যাহারের আহবান জানান ঢাকা কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার পারভেজ রেজা চৌধুরী।
তিনি বলেন, 'আমরা হেড অফিসে জানিয়েছি এবং এই আইন বাস্তবায়নে কাজ করছি। তারা হয়তো ভাবছেন এটি তাদের জন্য সমস্যা। কিন্তু এটি রাষ্ট্র ও জনগণের সুবিধার জন্য করা হয়েছে।'
দাবি আদায় না হলে পর্যায়ক্রমে দেশের সব বন্দরগুলোতে কর্মবিরতির ডাক দেয়া হবে বলছেন আন্দোলনকারীরা।