আসামে বৃষ্টির সঙ্গে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, একইসঙ্গে বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। ৪টি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদ ও ১টি পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বইছে বিপৎসীমার উপরে। পানিবন্দি রাজ্যের ২৭টি জেলার ১৪ লাখের বেশি মানুষ।
ভয়াবহ এই বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ধুবরি জেলা। আড়াই হাজারের বেশি গ্রামে নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর ফসলের খেত। দেড় লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য প্রায় ৪০০টি রিলিফ ক্যাম্প খুলেছে রাজ্য সরকার। কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে দেড় শতাধিক প্রাণী। ৪৩০ বর্গ কিলোমিটার উদ্যানের ৬২টি ফরেস্ট ক্যাম্প এখনও পানির নিচে।
আসাম কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের ফিল্ড ডিরেক্টর সোনালি ঘোষ বলেন, '১৩৫টি প্রাণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। পানিতে ডুবে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে মারা গেছে ১৫৯টি প্রাণী। এরমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনাও রয়েছে।'
আসামের পাশাপাশি বন্যায় ধুঁকছে উত্তর প্রদেশ। ভারি বৃষ্টির কারণে রাজ্যের ১২টি জেলার প্রায় ৮ লাখ মানুষ বন্যার কবলে। ৫টি নদীর পানি বইছে বিপৎসীমার ওপরে। বন্যার পাশাপাশি বাসিন্দারা প্রাণ হারাচ্ছে সাপের কামড় ও বজ্রপাতে। শুধু বুধবারই রাজ্যটিতে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৭ জন। বন্যা কবলিত অঞ্চল পরিদর্শন করে বন্যার্তদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
বন্যা কবলিত রাজ্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে হিমাচল প্রদেশ। ২৭ জুন থেকে ভারি বৃষ্টি ও বন্যায় রাজ্যের আর্থিক ক্ষতি ছাড়িয়েছে ১৭২ কোটি রুপি। আসাম ও উত্তর প্রদেশের মতো হিমাচল প্রদেশেও বাড়ছে প্রাণহানি।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর আইএমডির পূর্বাভাস বলছে, আগামী ৫ দিন উত্তরের রাজ্যগুলোয় অব্যাহত থাকবে বৃষ্টিপাত। তাই শিগগিরই বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।