তীব্র গরমে স্বস্তির বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলেন দিল্লিবাসী। তবে সেই বৃষ্টি এভাবে ভোগান্তিতে ফেলবে তাদের তা হয়তো ভাবেনি শহরটির ২ কোটি মানুষ।
শুক্রবার ( ২৮ জুন) ভোর থেকেই ভারি বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় রাজধানী নয়াদিল্লির বেশিরভাগ অঞ্চল। গেল ২৪ ঘণ্টায় শহরটিতে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ২২৮ মিলিমিটার । যা ৮৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ভারতের আবহাওয়াবিদ সোমা সেন রায় বলেন, ‘নয়াদিল্লিতে ভোর ২.৩০ মিনিট থেকে সকাল ৫ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত রেকর্ড ২২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে । দিল্লির বাইরেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে।’
রেকর্ড বৃষ্টিতে পানি জমে যায় শহরের রাস্তাঘাট, মেট্রো স্টেশন, এয়ারপোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবনের বেজমেন্টসহ বহু বাড়ী-ঘর।
শহরজুড়ে থৈ থৈ পানিতে বেগ পেতে হয়েছে যান চলাচলে। তাই দিনের বেশিরভাগ সময় তীব্র যানজটে ভুগেছে রাজধানীবাসী। দেখা দিয়েছে নানা বিশৃঙ্খলা।
পথচারীদের একজন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে রাস্তায় অনেক গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিলো। তাই আমাদের গাড়ি নিয়ে যেতে পারিনি। দাঁড়িয়ে আছে।’
আরেকজন বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে এখান থেকে নয়া দিল্লির মার্কেটে যেতে ৪৫ মিনিট সময় লাগে। আজ ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট ধরে যানজটে বসে আছি। ভয়াবহভাবে পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট।’
এদিকে প্রবল বৃষ্টিতে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালের ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ে। এতে প্রাণ যায় একজনের। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬ জন। এ ঘটনায় ব্যাহত হয় বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম।
বিমানযাত্রীদের একজন বলেন, 'স্পাইসজেটের একটি ফ্লাইটে দিল্লী থেকে পুনে যাওয়ার কথা। টার্মিনাল বন্দ। কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের সাহায্য করছে না আমাদের ।'
ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী কিঞ্জারাপু রামমোহন নাইডু বলেন, ‘পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। বিমানবন্দরের সব ভবনগুলোকেই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এধরনের ঘটনার পুনরায় যেন না ঘটে।’
এতোদিন জুনের দাবদাহে পুড়লেও কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে আরও ভোগান্তিতে দিল্লিবাসী।