প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে তিনটি জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। তাও কেবল গ্রুপপর্বেই। অবশ্য সেরা আটে এর আগে একবারই খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তারপর ৭ আসরে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয়ার পর, আরেকবার সুপার এইটের ম্যাচে খেলার অপেক্ষায় শান্তরা।
এরইমধ্যে অনেকে বলছেন, সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বআসরে নিজেদের ইতিহাসের সেরা সময় পার করছে বাংলাদেশ। দল হিসেবে যেমন সত্যি, তেমনি সত্যি বোলারদের জন্যও। মোস্তাফিজ-তানজিম সাকিব কিংবা রিশাদ হোসেনরাই এতদূর টেনে এনেছেন টাইগারদের।
আসরে এখন পর্যন্ত শীর্ষ উইকেটশিকারীদের তালিকায় সেরা দুইয়ে আছেন জুনিয়র সাকিব। মোস্তাফিজ আছেন সেরা কিপটে বোলারের তালিকায় সবার ওপরে। তাসকিন-রিশাদদের ঝুলিতেও ৭টি করে উইকেট। অন্যদের তুলনায় কিছুটা খরুচে মনে হলেও, টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এমন পারফরম্যান্সও যে ঈর্ষা করার মতোই!
বোলারদের কীর্তিগাঁথার ঠিক বিপরীত চিত্র বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। খাতা-কলমে নিজেদের হালচাল দেখলে হয়তো লজ্জাই পাবেন লিটন-শান্তরা। গ্রুপপর্বের ৪ ম্যাচ খেলেও এখন পর্যন্ত শতরানের ঘরে যেতে পারেননি কোন ব্যাটার। এবারের বিশ্বকাপে রান তুলনামূলক কম হলেও, বাংলাদেশের ব্যাটারদের নাজুক অবস্থা ছাড়িয়ে গেছে সব অজুহাতকেও।
গ্রুপপর্বে সর্বোচ্চ রান এসেছে তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে। স্ট্রাইক রেইট কিংবা ছক্কা হাঁকানোতেও বাকিদের ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। হৃদয়ের পর সাকিব-রিয়াদরাও আছেন তালিকায়। তবে লিটন দাস কিংবা তানজিদ তামিমদের পরিসংখ্যানটা মনে রাখতে চাইবেন না তারাও। ৪ ম্যাচে মাত্র ২৬ রান অধিনায়ক শান্তই বা কি জবাব দেবেন?
দলীয় সেরা আসরকে আরো রাঙাতে চাইলে বোলারদের পাশাপাশি ব্যাটারদেরও জ্বলে ওঠা বেশ জরুরি। নইলে পথচলা থামবে সুপার এইটেই।