বিশাল আয়তনের দেশ হওয়ার পরও স্বল্প সংখ্যক জনগোষ্ঠী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কানাডা। কোনোভাবেই সামাল দিতে পারছে না অর্থনৈতিক সংকট। বিশ্বব্যাপী অসামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যয় আর কর্মসংস্থানের অভাব, সঙ্গে তীব্র আবাসন সংকট। এসব কিছু সরকারকে বাধ্য করছে নতুন নতুন বিধিনিষেধ আরোপে।
কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার বলেন, 'আমরা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সাফল্য চাই। তারা যেন ভালোভাবে লেখাপড়া করতে পারে। সব দেশেই কাজের নির্দিষ্ট বিধান আছে। আমরাও তাই মানছি। গুরুত্বপূর্ণ হলো পড়াশোনা, কাজ নয়। তাই অফ ক্যাম্পাসে কেবল ২৪ ঘণ্টার সুযোগ দেয়া হচ্ছে।'
আসছে সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে পারবেন না। শ্রমবাজারে কর্মী সংখ্যা কমাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যাতে কমে আসে প্রতিযোগিতা। সৃষ্টি হয় কর্মঘণ্টা।
সংকট সাময়িক। অটোয়া দ্রুতই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদ সৈয়দ করিম।
তিনি বলেন, ' কানাডায় যত মানুষ আসছে, বিপুল জনগোষ্ঠীকে ধারণ করার জন্য কানাডার অবকাঠামো কি প্রস্তুত! নানা তথ্য বলছে যে প্রস্তুত নয়। এর একটা প্রচ্ছন্ন প্রভাব আমরা কানাডার আবাসন খাতে দেখতে পাচ্ছি। সামান্য এক বেডরুমের ভাড়া করতে গুনতে হচ্ছে ২৪০০ ডলারের মতো।'
তবে অর্থনৈতিক গতি বাড়াতে বেছে বেছে ওয়ার্ক পারমিট দিতে চায় কানাডা সরকার। এতে শঙ্কা রয়েছে, অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষে নাও পেতে পারেন পর্যাপ্ত কাজের সুযোগ।