দেশে এখন
0

উট ও দুম্বা উঠতে শুরু করেছে গাবতলীর হাটে

ব্যাপারির কাছে বিক্রি করতে নয়; ভালো দাম পেতে বিভিন্ন জেলা থেকে কোরবানির পশু নিয়ে গাবতলী হাটে হাজির হয়েছেন অনেকেই। কৃষকদের নিজের পোষা অনেক পশুর দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। কেউ কেউ নিজের লালন-পালন করা পশুকে ভালোবেসে দিয়েছেন পছন্দের নামও। সঙ্গে মরুভূমির জাহাজ খ্যাত উট আর দুম্বাও উঠতে শুরু করেছে হাটে।

রাজা-বাদশা কিংবা স্যোসাল মিডিয়ার ভাইরাল কোনো ব্যক্তির নামে ডাকা হচ্ছে প্রিয় গবাদিপশুকে। এরকমই একটি গরুর দাম ১৫ লাখ। যার মাংসের পরিমাণ আনুমানিক ২০ মণ। গাবতলী গবাদিপশুর হাটে এমন বিশাল দেশি গরু কোনো ব্যাপারি নয়, এসেছে সাধারণ কৃষকের হাত ধরে।

কুষ্টিয়ার সানওয়ান হোসেনের নিজের পোষা ৫টি গরু নিয়ে এসেছেন এই হাটে। ২টি পাকিস্তানি শাইওয়াল জাতের গরু, যার প্রত্যেকটি ১৫ লাখ টাকা করে দাম হাঁকাচ্ছেন তিনি। এছাড়া আমেরিকান আরেকটি গরুর দর ১২ লাখ টাকা আর দুটি অস্ট্রেলিয়ান গরু ৬ লাখ টাকা করে।

তিনি বলেন, 'দাম ভালো পাওয়ার জন্য সরাসরি হাটে আসছি। ব্যাপারির মাধ্যমে আসলে দাম কম পাওয়া যায়। গো খাদ্যের দাম বাড়তি, তাই গরু লালন পালন করতে অনেক খরচ হইছে'

গাবতলী হাটের দুম্বা

কোনো কোনো কৃষক তার গরুর নামও দিয়েছেন ভালোবেসে। গরু, খাসি, মহিষের পাশাপাশি গাবতলী গবাদিপশুর হাটে মরুভূমির জাহাজখ্যাত উটও উঠতে শুরু করেছে। বিশাল আকৃতির উট দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করছে। একটি উটের দাম চাচ্ছেন ২০ লাখ করে। এসেছে দুম্বা এবং চিনা গরুও।

কোরবানির আরও বাকি এক সপ্তাহ। তাই স্বল্প পরিসরে বেচাবিক্রি শুরু হলেও এখনো জমে ওঠেনি রাজধানীর পশুর হাটগুলো। তবে দুয়েকদিনের মধ্যেই পশু কেনাবেচা বাড়বে বলে প্রত্যাশা ব্যাপারি, খামারি ও হাট কর্তৃপক্ষের।