ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হারলো বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১১৩ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

বিশ্বকাপ শুরুর আগে যে বাংলাদেশকে নিয়ে এতো শতো কথা সব কিছুর দাত ভাঙা জবাব লিখা হতে পারতো আটলান্টিক পাড়ে। হাতের মুঠোয় আসা সুযোগটাকে যেন নিজ হাতে ঠেলে সরিয়ে দিলো শান্ত বাহিনী। আক্ষেপ ১১৪ রানের লক্ষ্যটা ছুঁতে পারলোনা বাংলাদেশ।

শেষ দুই বলে রান লাগে ৬। ব্যাটিং প্রান্তে মাহমুদুল্লাহ। মাহারাজ বলটাও দিলেন ফুলটাস। বলের গতি আর উচ্চতা দেখে ক্রিকেট সমর্থকরা ভেবেই ফেলেছিল এক বল হাতে থাকতেই জয়টা মনে হয় পেয়ে গেল বাংলাদেশ। তবে একেবারে বাউন্ডারি ছুঁই ছুঁই জায়গা থেকে লাফ দিয়ে বলটা ধরে ফেললেন মারকরাম। জয়ের স্বপ্নটাও ঠিক তখনই গেল নিভে।

নাসাউ স্টেডিয়ামের ড্রপ ইন পিস টা বড্ড বেরসিক ব্যাটসম্যানদের জন্য। কোন ভাবেই যেন পিসকে বশে আনতে পারছেন কোন দলের ব্যাটাররা। তামিম, শান্ত, লিটনরাও পারলেন না। মাত্র ৯ রানের মধ্যে দুই বাউন্ডারি তামিমের। কিন্তু রাবাদার বলে পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে।

অধিনায়ক শান্ত আজ আসলেন ওপেনিংয়ে। ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন হলেও নিজের পারফরম্যান্সে আনতে পারলেন না পরিবর্তন। ১৪ রানে ফিরলেন। ব্যর্থ গত ম্যাচের হাল ধরা লিটন। আর সাকিবতো তার ব্যাটিং ব্যর্থতার গল্পটা নিয়ে গেলেন পরের পাতায়।

তাই আবারো দলের ভরসা হয়ে ক্রিজে তাওহীদ হৃদয় আর মাহমুদুল্লাহ। দুজনের জুটি থেকে আসে ৪৪ রান। হৃদয় ৩৭ রানে ফিরে গেলে একমাত্র ভরসা হয়ে ক্রিজে থাকেন মাহমুদুল্লাহ। শেষ চেষ্টাটা হয়তো করেছিলেন। কিন্তু সেটা জয়ের গল্প লিখা হলো না।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে টাইগার পেসারদের সামনে একে একে আত্মসমর্পন করতে থাকেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। মাত্র ২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। মাঝে দলের হাল ধরেন আইপিএলে দুর্দান্ত খেলা ক্লাসেন আর অন্যপ্রান্তে মিলার। মূলত এই দুইজনের ব্যাটে ভর করেই ১০০ পেরোতে পারে প্রোটিয়া বাহিনী। তানজিম সাকিব শিকার করেন ৩ উইকেট। তাসকিন নেন ২টি আর একটি উইকেট শিকার করেন রিশাদ।

ইএ