সহজ ম্যাচ কঠিন করে হলেও অবশেষে স্বস্তির জয় বাংলাদেশের। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর থেকেই যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজছিল টাইগাররা। তবে বিশ্বকাপের মূল পর্ব শুরু হতেই বল হাতে এক অন্যরকম বাংলাদেশ।
তবে ব্যাট হাতে যেন সেই পুরোনো বাংলাদেশ। ১২০ বলে ১২৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সৌম্য যেভাবে শুরু করলেন, যেন লক্ষ্যটা পাহাড়সম। ইনিংসের তৃতীয় বলেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে ৩০ গজেই ধরা পরলেন পরের ওভারেই নুয়ান থুসারার দুর্দান্ত ইয়োর্কারে অফ স্ট্যাম্প উপড়ে গেল তানজিদ তামিমের। ফলাফল ৬ রানেই দুই ওপেনার প্যাভিলিয়নে।
দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে গিয়ে লিটন-শান্তর প্রতিরোধের প্রচেষ্টা তবে এরপর আবারও ব্যর্থ বাংলাদেশের অধিনায়ক। ১৩ বলে ৭ রান করে নাজমুল শান্ত কাভারে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছে সেই থুসারার বলেই।
শান্তর পর উইকেটে আসেন হৃদয়। দেখে শুনে লিটনের সাথে পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন। ১২ তম ওভারে আউট হবার আগে টানা ৩ ছক্কা হাঁকান প্রতিপক্ষ অধিনায়ক হাসারাঙ্গার বলে। আউট হবার আগে খেলেন ২০ বলে ৪০ রানের ক্যামিও।
অতঃপর আবারও সেই পুরোনো বাংলাদেশ। সহজে জেতা ম্যাচ হাতের মুঠো থেকে ফসকে যেতে থাকে তাদের। সঙ্গী হারানোর পর লিটনও কাটা পরেন সেই হাসারাঙ্গার বলেই।
সবাই যখন ম্যাচ জয়ের জন্য সাকিবের দিকে তাকিয়ে তখন ব্যর্থ সাকিব আল হাসান। পরের ওভারেই থুসারার জোড়া আঘাত। ৯৯ রানে ৫ উইকেট থেকে মুহুর্তেই ১১৩ রানে ৮ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
ম্যাচ যখন লঙ্কানদের দিকে হেলে গিয়েছে তখনইও আবারও বুড়ো হাড়ের ভেলকি দেখালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তানজিম সাকিবকে সঙ্গী করে ১ ওভার হাতে রেখেই পৌছে যায় জয়ের বন্দরে।
আগে প্রথম ইনিংসে উড়তে থাকা শ্রীলঙ্কার রানের লাগাম টেনে ধরেন বাংলাদেশি বোলাররা। তাসকিন, রিশাদ, মুস্তাফিজদের কিপ্টে বোলিংয়ে। পাথুম নাসুংকার ঝড়ো ৪৭ রানের পরেও তাদের দলীয় সংগ্রহ ১৩০ পেরোয়নি। মুস্তাফিজ ও রিশাদ দুজনেই ৩ উইকেট করে ঝুলিতে ভরেছেন।
বল হাতে দারুণ শুরু হলেও জয়ের পর ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স নিশ্চয়ই চিন্তার রেখা ফেলছে টিম ম্যানেজমেন্ট ও ভক্ত সমর্থকদের।