স্বাস্থ্য খাত নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হবার খবর নেই এবারের বাজেটেও। এক যুগ ধরেই মোট বাজেটের ৫ শতাংশের আশপাশে ঘুরছে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ। এবারও ৫ দশমিক ২ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা গত অর্থবছরের তুলনায় দশমিক দুই শতাংশ বেশি যা একেবারেই গতানুগতিক। টাকার অঙ্কে ৪১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা।
নতুন অর্থবছরে টাকার অঙ্কে বাজেট ৪১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের শতাংশে ৪.৫ শতাংশ।
সবশেষ কোভিডকালে ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ বাজেট পেয়েছিলো স্বাস্থ্যখাত। তারপর থেকে টানা তিনটি অর্থবছর মোট বরাদ্দের অনুপাতে নিম্নমুখী ছিলো স্বাস্থ্যের বরাদ্দ। এবার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নয়ন হলেও সাধারণ মানুষ সেবা বঞ্চিতই থাকবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
প্রতি বছর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত অর্থের একটি বড় অংশ ফেরত যাওয়া কম বরাদ্দের মূল কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শেষ ৫টি অর্থবছরে স্বাস্থ্যে বরাদ্দ ৩৭ শতাংশ বাড়লেও গড়ে প্রতি অর্থবছরে অর্থ ফেরত গেছে ২৮ শতাংশ। ওষুধ ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় বেশি বিনিয়োগ ও জনবল নিয়োগের জটিলতা নিরসন করতে পারলে এই হারে অর্থ ফেরত যাবে না বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
একদিকে অপ্রতুল বরাদ্দ, অন্যদিকে অর্থ ফেরত। যতটুকু খরচ হয় তার মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি, অপচয়। সবমিলে বাজেট সরাসরি মানুষের স্বাস্থ্যের কল্যাণে না আসায় ১০০ টাকা ব্যয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ খরচ হচ্ছে জনগণের পকেট থেকে।
দক্ষিণ এশিয়ায় স্বাস্থ্যে মাথাপিছু বার্ষিক ব্যয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ সবার পেছনে। বাংলাদেশ যেখানে খরচ করছে ৫৮ ডলার সেখানে ভারত ৭৪, ভুটান ১৮০ এবং মালদ্বীপ খরচ করছে ১০৩৮ ডলার। বিশ্বব্যাংক বলছে আগামীতে বাংলাদেশে ১ লাখ ২০ হাজার মানুষের পরিবর্তে বছরে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে নেমে যেতে পারে।
তবে আশার কথা হচ্ছে এবারের বাজেটে কিডনি রোগীদের জন্য সুখবর আছে। ডায়ালাইসিসের সরঞ্জামের ওপর থেকে শুল্ক কমানো হয়েছে। বাজেটে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ওষুধে কাঁচামাল আমদানির ওপরও।