পরিবেশ ও জলবায়ু
দেশে এখন

ঢাকায় দিনে ৬ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য

দেশে মাথাপিছু প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়ছে। ঢাকায় গত ৫ বছরে যেটি বেড়েছে দ্বিগুণহারে। দিনে ৬ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয় শুধু ঢাকাতেই। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুনঃব্যবহার বাড়িয়ে কাঁচামাল সরবরাহ নিশ্চিত হলেও দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানিতে শীর্ষে থাকতে পারে প্লাস্টিক পণ্য।

সময়ের প্রয়োজনে শুরু হয় প্লাস্টিকের ব্যবহার। যেটির চাহিদা বাড়ছে ক্রমশ। বর্তমানে দেশে প্লাস্টিক ব্যবহার হচ্ছে মাথাপিছু ৯ কেজি। স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠেছে ৪০ হাজার কোটি টাকার বাজার।

আর এই ব্যবহার বাড়ার কারণে বাড়ছে প্লাস্টিক বর্জ্যও। ঢাকায় প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে সাড়ে ৬ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য। তবে এর মাত্র আড়াইশ' টন রিসাইকেল হচ্ছে। বাকি বর্জ্য দূষিত করছে মাটি ও পানিকে।

বুধবার ( ৫ জুন) ফেলে দেয়া প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তৈরি পণ্য প্রদর্শনীর আয়োজন করে বিপিজিএমইএ। খেলনা থেকে গৃহস্থালি পণ্য কিংবা প্লাস্টিক তৈরির কাঁচামাল। সব নিয়ে হাজির উৎপাদনকারীরা। পরিদর্শনে আসা গবেষক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই আয়োজন প্লাস্টিকের পুনঃব্যবহার বাড়াবে।

প্রদর্শনীর পাশেই আয়োজিত আলোচনা সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানিতে শীর্ষে থাকতে পারে প্লাস্টিক। তবে তার জন্য প্রয়োজন রিসাইকেল যোগ্য কাঁচামাল।

বিপিজিএমইএ সভাপতি শামিম আহমেদ বলেন, 'প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি সত্যিকার অর্থে পলিউশন করে না। পরিবেশ মন্ত্রণালয় তাদের ছড়াপত্রে এই ইন্ডাস্ট্রিকে গ্রিন ক্যাটগরিতে নিয়ে আসছে।'

প্লাস্টিক দূষণ কমিয়ে পুনরায় ব্যবহার করার বিষয়ে সরকার নীতি সহায়তা দেবে বলে জানান বাণিজ্য সচিব।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, 'কি ধরনের সার্পোট তাদের দরকার আমরা সরকার কিভাবে করতে পারি তা দেখবে। সরকার পরিবেশ রক্ষায় এমন কার্যক্রম বরাবরই উৎসাহিত করে।' 

দেশে প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তৈরি কাঁচামাল রপ্তানি হচ্ছে ১৪টি দেশে।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর