বিদেশে এখন

রাহুলের নেতৃত্বে আবারও আলোচনায় কংগ্রেস

গান্ধী পরিবারের জন্ম নিয়েও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা নিয়ে কম সমালোচনা হজম করতে হয়নি রাহুল গান্ধীকে। বিজেপি নেতারা একসময় যাকে 'পাপ্পু', 'ক্ষমতার ভারে বিগড়ে যাওয়া রাজার ছেলে' বলে কটাক্ষ্য করেছেন সেই রাহুলের হাত ধরেই আবারও আলোচনায় কংগ্রেস। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এবারের লোকসভা নির্বাচনে ৯৯টি আসন জিতে রীতিমতো প্রশংসায় ভাসছেন গান্ধীপুত্র।

ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রাজনৈতিক দলের সাথে কংগ্রেসের বন্ধন দৃঢ় করতে কণ্যাকুমারি থেকে জম্মু ও কাশ্মীর পর্যন্ত ছুটে গেছেন রাহুল গান্ধী। শেষ পর্যন্ত কতটুকু জুড়তে পেরেছেন কর্মী-সমর্থকদের তার আভাস পাওয়া গেল এবারের লোকসভা নির্বাচনে।

২০১৪ সালে ৪৪ আর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৫২টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। সবশেষ ২০০৯ সালে মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বে ২০৬টি আসন পেলেও তারপর তিন অংক স্পর্শ করতে পারেনি দলটি। তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাহুল-প্রিয়াংকা নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস ৯৯টি আসন জিতে আবারও ফিরেছে রাজনীতির মাঠে।

রাম মন্দির, হিন্দুত্ববাদ, তপস্যা, মাটন, মঙ্গলসূত্র ইত্যাদি অস্ত্র ব্যবহার করেও উত্তর প্রদেশে আসন পায়নি বিজেপি। সবাইকে এক প্রকার চমকে দিয়েই মোদির ৪০০ পারের স্বপ্ন ভেস্তে দিয়েছে রাহুলের ইন্ডিয়া জোট। সাত ধাপে ৪৪ দিন ধরে চলা এই নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি ও জোট এনডিএ জিতেছে ২৯৩ আসনে। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বহুদলীয় বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া' পেয়েছে ২৩৩ আসন।

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দল হিসেবে কংগ্রেস এবারের নির্বাচনে ছোট ছোট আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্য গড়ে তোলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। ভোটারদের কাছে গিয়ে তাদের প্রত্যাশা জানতে চেয়েছেন প্রার্থীরা। অসাম্প্রদায়িক ভারত কিংবা 'রাম না রুটি' কোনটা বেশি জরুরি- এই বিষয়গুলো ভোটারদের কাছে উপস্থাপন করায় তার প্রতিফলন দেখা গেছে ব্যালটে।

প্রচারের শুরুতে রাহুল গান্ধী জোর দিয়ে বলেছিলেন, হিংসার বাগানে ভালোবাসার গোলাপ ফোটাবেন তিনি। ২০১৪ সাল থেকে রাহুলকে অপরিণত রাজনীতিবিদ হিসেবে যেভাবে কটাক্ষ করা হয়েছে, তার জবাব মিললো ২০২৪ এ। এক দশক পর ভারতসহ গোটা বিশ্ব দেখলো রাহুল গান্ধী কীভাবে দেশের নেতা হয়ে উঠেছেন।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর