দেশে এখন

কুড়িগ্রামের পশুহাটে ক্রেতা কম, জমেনি বেচাকেনা

কোরবানির ঈদ ঘিরে কুড়িগ্রামের হাটে বেড়েছে পশুর সরবরাহ। পশু বিক্রেতারা হাটে পর্যাপ্ত গরু নিয়ে এলেও ক্রেতা উপস্থিতি এখনও কম, ফলে জমে ওঠেনি বেচাকেনা। শেষ পর্যন্ত বাজারে ভারতীয় গরু না এলে ভালো ব্যবসার আশা পশু ব্যবসায়ীদের।

কুড়িগ্রামে বেশিরভাগ কোরবানির গরুর জোগান দেয় চরাঞ্চল। ঈদকে সামনে রেখে লাভের আশায় হাটে গরু নিয়ে ভিড় করছেন চরাঞ্চলের পশু পালনকারীরা। কিন্তু ক্রেতা স্বল্পতায় এখনও জমে ওঠেনি বেচাকেনা।

ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার এবং গঙ্গাধর-এই তিন নদীর মিলিত স্থানে সদর উপজেলার যাত্রাপুর হাট। জেলার ছয় উপজেলার দুই শতাধিক চরের মানুষের পণ্য বেচাকেনার একমাত্র বড় হাট এটি।

গরু বিক্রি করার মতো ক্রেতা এখনও পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। তবে ঈদ যত এগিয়ে আসবে হাটে ক্রেতা উপস্থিতি বাড়বে এবং ব্যবসা ভালো হবে বলে আশা পশু ব্যবসায়ী ও হাট ইজারাদারদের।

একজন খামারি বলেন, 'এবার ঈদে বিক্রি করার জন্য কয়েকটি গরু পালন করেছিলাম। বাজারে নিয়ে এসেছি, কিন্তু লোকজন নাই। এ বাজারে যে রকম ভিড় হয়, সেরকম এখনও জমে ওঠেনি। ভারতের গরু যদি না আসে আমরা খামারি যারা আছি, আমরা ভালো দামে গরু বিক্রি করতে পারবো।'

কুড়িগ্রাম যাত্রাপুর হাটের হাট ইজারাদারের প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান জনি শেখ বলেন, 'গত তিন বছর থেকে এ হাটে কোনো ভারতীয় গরু আসে না। দেশি এবং স্থানীয় খামারি গরু দিয়ে আমাদের হাট চলছে। আমরা আশা করছি সারাদেশে থেকে ক্রেতারা এ হাটে আসবে।'

চরাঞ্চলের চারণ ভূমিতে প্রাকৃতিকভাবে পালিত গরুর মাংস খাদ্য হিসেবে নিরাপদ বলে জানালেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোনাক্কা আলী।

তিনি বলেন, 'কুড়িগ্রাম জেলায় চাহিদার তুলনায় বেশি পশু প্রস্তুত আছে। চরাঞ্চলের গরুর চাহিদা বেশি। তারা প্রাকৃতিকভাবে তাদের গবাদিপশু লালনপালন করে থাকে।'

জেলায় এবার ঈদকে সামনে রেখে এক লাখ ১৪ হাজার গরু পালন করা হয়েছে। যার ৭০ ভাগই হয়েছে চরাঞ্চলে।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর