গেল সোমবার এক রাতের বৃষ্টিতেই ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৮টি ওয়ার্ডের ১০ হাজার পরিবার জলবন্দি হয়ে পড়েন। বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় বাসা-বাড়ি, রাস্তাঘাট। বন্ধ হয়ে যায় আবাসিক পর্যায়ে গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। প্রতিবছরই এমন দুর্দশায় পড়তে হয় নগরীর মানুষকে।
বৃষ্টি কমে যাওয়ায় উপচে পড়া পানি নেমেছে ঠিকই কিন্তু এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি কেউ। নানান সংকটে নাজেহাল সিলেট মহনগরীর বাসিন্দারা।
এছাড়া পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে বন্যার পানি নেমে গেলেও রাস্তাঘাট এখনো পানির নিচে থাকায় বন্যাআক্রান্ত মানুষজনের দুর্ভোগের শেষ নেই।
এদিকে গত সপ্তাহখানেক ধরে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি কখনও কমছে আবারও কখনও বাড়ছে। এতে চরম দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন সুনামগঞ্জের ২০ লাখেরও বেশি মানুষ।
ইতোমধ্যে পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, ছাতক ও দোয়ারা বাজারসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আতঙ্ক আর উৎকন্ঠায় সময় পার করছেন ভাটির জেলার বাসিন্দারা।
সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, 'সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং বন্যায় দুর্গতদের সরকারি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হয়েছে।'
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে বন্যা কবলিত উপজেলাগুলোতেও বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে সিলেটের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেশ কিছু পয়েন্টে এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।