কাজের সন্ধানে দুবাই যেতে আগ্রহীদের জন্য মোটরযান চালকের চাকরি অনেকটা সোনার হরিণের মতো। দেশে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষে উন্নত জীবনের আশায় অনেকেই ছুটে যান মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এতে খরচ হয় প্রায় দশ হাজার দিরহাম। কিন্তু দেশটিতে এই পেশার কর্মরত বাংলাদেশির সংখ্যাও কম নয়। তাই চাকরির বাজারে টিকে থাকাটাও সহজ হয় না।
ড্রাইভিংয়ে কর্মরত প্রবাসীরা বলেন, সঠিক পথেই বিদেশে আসা উচিত। টিটিসির মাধ্যমে আসলে ভালো। এছাড়া সরকারের অনেক মাধ্যম আছে, সেই অনুযায়ী আসলে টিকে থাকা যাবে। যারা ১২ ঘণ্টা পরিশ্রম করতে চায় তাদের জন্য দুবাই ট্র্যাক্সি বেস্ট অপশন।
দুবাই ট্যাক্সিতে চালক হিসেবে কাজ করতে হয় কমিশনের ভিত্তিতে। মাস শেষে প্রতিষ্ঠানকে অন্তত ১৫ থেকে ২০ হাজার দিরহাম তুলে দিতে হয়। দিনে সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টা চালিয়ে মাস শেষে চালকের হাতে থাকে ৩-৪ হাজার দিরহাম।
গেল মে মাসের শেষ সপ্তাহে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে এক বৈঠকে বাইক ও টেক্সি চালকের চাহিদার কথা জানায় দুবাইয়ের রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি। ইতোমধ্যে ৯০০ কর্মীর চাহিদা সংক্রান্ত চিঠিও পেয়েছে বাংলাদেশ। এই পেশায় নিয়োগের ক্ষেত্রে ভাষাগত দক্ষতার উপর জোর দিচ্ছে আরটিএ।
দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কাউন্সিলর আব্দুস সালাম বলেন, 'অল্প সময়ের মধ্যেই বিভিন্ন দেশ থেকে তারা ৩ হাজার ড্রাইভার নেবে। এর মধ্যে বাইক ও ট্যাক্সি ড্রাইভার আছে। বেশিরভাগ অংশই তারা বাংলাদেশ থেকে নেবে।'
দেশে বাইক ও গাড়ি চালানোর লাইসেন্স থাকলেও আমিরাতে গিয়ে নতুন লাইসেন্স করতে হবে চালকদের। এর খরচ বহন করতে হয় চালকদেরকে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে দালালের ঝুঁকি না নিয়ে সঠিক প্রক্রিয়ায় দেশটিতে প্রবেশের পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট পেশায় নিয়োজিত প্রবাসীরা।