দেশে এখন
0

সিলেট শহরে ঢুকছে বন্যার পানি

উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি এবার সিলেট শহরে ঢুকতে শুরু করেছে। এতে নগরীর তিনটি ওয়ার্ডসহ বেশ কিছু নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে ভোগান্তিতে বন্যাকবলিত মানুষ। নিম্নাঞ্চলের অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে উঠতে শুরু করেছেন।

উজানের পানির ঢলে সিলেটের ৫টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এখন নদীর পানি ঢুকছে সিলেট শহরে। নদী ঘেঁষা নগরীর ৩টি ওয়ার্ডসহ উপশহর, জামতলা, তালতলা, সোবহানীঘাট এলাকায় সুরমার পানি উপচে প্রবেশ করছে লোকালয়ে।

অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত নগরীর উপশহরে অতিবৃষ্টি অথবা ভারী বৃষ্টিপাত হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ড্রেনের ময়লা ও ছড়ার পানি ঢুকছে অনায়াসে। এই অবস্থায় এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা রয়েছেন নানা ভোগান্তিতে।

ভুক্তভোগীরা বলেন, ২০২২ সালে যেমন পানি ছিল, এবারও তেমন পানি হইছে। বাসায় পানি ঢুকে গেছে। ব্যবসাও করতে পারতেছি না। পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি। নদীতে পানি যাওয়ার রাস্তা থাকলে এমনটা হতো না।

আজ (শনিবার, ১ জুন) সকালে তেরোরতন এলাকায় ত্রাণ বিতরণের সময় সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, নানা জটিলতায় আগাম বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজে দেরি হচ্ছে। তারপরও তৎপর আছেন তারা।

তিনি বলেন, 'আমরা ছোট বেলা থেকে দেখছি ঢল হলেই পানি চলে আসে। আগে অনেক জলাশয়-পুকুর ছিল এবং নদীর পানিও অনেক খরস্রোতা ছিল। তাই ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যেই পানি চলে যেত। কিন্তু এখন আর পানি সহজে যায় না।'

নিম্নাঞ্চলের ৫টি উপজেলার সাথে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে আরও ৭টি উপজেলার নিমাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পর গত দুইদিনে এর পরিমাণ কিছুটা কমেছে।

ফলে ঢলের পানি কমলেই জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর