দেশে এখন
0

জুরাইনের জলাবদ্ধতা: সীমাহীন ভোগান্তি, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার অভিযোগ

রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জুরাইন এলাকায় জলাবদ্ধতা নতুন নয়। দিনের পর দিন জমে থাকা ময়লা-আবর্জনাযুক্ত পানিতে অবর্ণনীয় কষ্টে ভুগছেন নানা বয়সী মানুষ। জলাবদ্ধতার পাশাপাশি গ্যাসের চাপ কম থাকায় ব্যাহত হচ্ছে রান্নার কাজ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানে উদাসীন কর্তৃপক্ষ।

পাঁচদিন আগের বৃষ্টির পানি এখনো জমে আছে জুরাইন এলাকায়। সেখানে ভাসছে পয়ঃবর্জ্যসহ বিভিন্ন আবর্জনা। দুর্গন্ধে ভরা এ পানি পেরিয়েই সাধারণের চলাচল। প্রয়োজনের তাগিদে প্রতিদিনই হাঁটু সমান পানি পার হতে হয় নানা বয়সী মানুষকে।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৩ নাম্বার ওয়ার্ডের কুসুমবাগ, ঋষিপাড়া, কমিশনার গলিসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা যেন নিত্যসঙ্গী। যা নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই এলাকাবাসীর।

তারা বলেন, নিষ্কাশনের ব্যবস্থা যদি ভালো থাকে তাহলে পানি জমবে না। কিন্তু এ জায়গাটাই অনেক দুর্বল। কর্তৃপক্ষ শুধু আসে আর পরিকল্পনা করে যায়। কোনো কাজ হয় না। অল্প বৃষ্টিতেই পানি আটকে থাকে, বাসা-বাড়িতে পানি উঠে যায়।

সড়কের নিচু দোকানপাট, বাসাবাড়িতে পানি ওঠায় অনেকেই বাধ্য হয়ে এলাকাও ছাড়ছেন।

শুধু কি জলাবদ্ধতা? গ্যাসের সমস্যাও প্রকট এখানে। নিয়মিত গ্যাস না পাওয়ায় রান্নার কাজ ব্যাহত হয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

স্থানীয়রা বলেন, মূল সমস্যাটা এখন গ্যাস লাইনের। আমরা ঠিকমতো খাইতে পারছি না। রাত ২টা-৩টার পরে গ্যাস দেয়। তখন রান্না করা অনেক কষ্টের হয়ে যায়।

জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে এলাকাবাসীর অনসন। ছবি:এখন টিভি

নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে জুরাইন এলাকার মানুষ অনশনে নেমেছেন। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিনের নানা সমস্যা সমাধানে সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থাগুলো উদাসীন। এলাকাবাসীর কথা বিবেচনা করে শিগগিরই সমাধানের তাগিদ তাদের।

সমাজকর্মী মিজানুর রহমান বলেন, 'সিস্টেমে ভয়ংকর গলদ। এদিকে কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নাই। তাই আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। জানি না এর ফল পাব কি না।'

তবে এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বর্ষা মৌসুমের আগে জলাবদ্ধতা, গ্যাস ও পানির মতো প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের দাবি এলাকাবাসীর।