টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য সেই ২০০৭ সালে। সেবার মোহাম্মদ আশরাফুলের অধিনায়কত্বে অভিষেক আসরে বাজিমাত করে সুপার আটের টিকেট কেটেছিল বাংলাদেশ। তবে মাঝে দীর্ঘ ১৭ বছর কাটলেও উন্নতির চেয়ে দিন দিন পেছনের দিকে দেশের টি টোয়েন্টি সূচক।
ছোট ফরমেটের ক্রিকেটে আরও একটি বিশ্বকাপ এসেছে। হিউস্টনের ভেন্যু ছেড়ে বিশ্বকাপের মূল ভেন্যু ডালাসের উইকেটে শান্ত, তাসকিনরা অনুশীলন করেছেন। এটা যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হারের ক্ষত ভুলে নতুন করে ঝেড়ে উঠার প্রস্তুতি টাইগারদের। চোটের কারণে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে না থাকলেও ওয়ার্ম আপ ম্যাচে তাসকিনের থাকার সম্ভাবনা প্রবল। অন্তত দলের এই স্পিড স্টারের অনুশীলনে তা অনেকটাই পরিষ্কার।
আইসিসির আনুষ্ঠানিক দুই ওয়ার্ম আপ ম্যাচে হার জিতের সমীকরণ ভুলে শিষ্যদের ক্রিকেট দুর্বলতা কাটাতেই নিশ্চয় কাজ করবে কোচ হাথুরু। শেষ ম্যাচে মোস্তাফিজ, রিশাদদের দাপুটে পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বোলিং বিভাগ কিছুটা স্বস্তি জাগিয়েছে। তবে ব্যাটারদের খামখেয়ালী ব্যাটিংয়ে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়া যাবে কি না, এখনও কাটেনি শঙ্কার সেই মেঘ।
দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে হলে গ্রুপে অন্তত রানার্স আপ হতে হবে শান্ত বাহিনীকে। এজন্য পেছনে ফেলতে হবে ডি গ্রুপের সাবেক চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে। বিশ্বকাপের মূল পর্ব শুরুর আগেই উইকেট সম্পর্কে ভালো ধারণা আর সেরা প্রস্তুতিতে নিজেদের এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকবে সাকিব, শান্তদের। বিশ্বকাপের অপ্রত্যাশিত হারের অভিজ্ঞতা ভুলে সেই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বিশ্বকাপ যাত্রা কেমন হয় টাইগারদের দেখার অপেক্ষায় সমর্থকরা।