বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্যে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী, ২১ মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হয়েছে ১৮ দশমিক ৬১ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৮৬১ কোটি ডলার।
গত ১৫ মে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ১৮ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ বেড়েছে ১৮০ মিলিয়ন ডলার। এর সাথে বেড়েছে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণও।
বর্তমান মোট রিজার্ভের পরিমাণ ২৪ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন বা দুই হাজার ৪০৯ কোটি ডলার। গত সপ্তাহে যা ছিল ২৩ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। এর আগে গত ২ মে ২৫ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৫৩৭ কোটি ডলার।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা দাঁড়ায় ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল। বিদেশ থেকে ঋণ নেয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ওই সময় রিজার্ভ বাড়ানো হয়। এরপর সংকটের কারণে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর ফলে ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ কমে গত নভেম্বর শেষে ১৯.৩০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। এরপর আবারও বেড়ে ডিসেম্বরে ২১.৮৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল, তবে চলতি বছরের জানুয়ারি শেষে আবার কমে ১৯.৯৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। মার্চের শেষ তিন সপ্তাহ ধরে রিজার্ভের নিম্নগতি দেখা যায়।