২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী রয়েছে নানা চ্যালেঞ্জ। তার মধ্যে অন্যতম চ্যালেঞ্জ অনেকে দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এরই মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর উদ্যোগও নিয়েছে বাংলাদেশ।
রপ্তানি বাড়াতে এরই মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে আহ্বান করা হচ্ছে বৈদেশিক বিনিয়োগের। এতে সাড়াও মিলছে বাণিজ্য সহযোগী দেশগুলো থেকে।
বন্ধুদেশ অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরে এসে আজ প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে বিকেলে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে। এই আলোচনায় দু'দেশের বন্ধুত্ব আরও গভীর করার বিষয়ে একমত হন তারা।
আলোচনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরও অস্ট্রেলিয়ার বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছেন। এছাড়াও মানবপাচার রোধে একযোগে কাজ ও দক্ষ অভিবাসী তৈরিতে কারিগরি প্রশিক্ষণের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয় অস্ট্রেলিয়াকে।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'আমরা অস্ট্রেলিয়ার বাজারে কোটা ও শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছি। আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলডিজি উত্তরণের পরও এ সুবিধা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন। আমরা অস্ট্রেলিয়াকে আমাদের ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান করেছি।'
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনসহ আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তায় দু’দেশের কোস্টগার্ডের সম্পর্ক আরও জোরদার করা নিয়ে আলোচনা করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একযোগে কাজ করতে চান জলবায়ু ও কৃষি উন্নয়নে।
পেনি ওং বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তন, আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তা, মানবপাচার সমস্যার সমাধান কোনো একক দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করতে হবে। এ লক্ষ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা খুবই আগ্রহী, বিশেষ করে দুই দেশের কোস্টগার্ডের মধ্যে।'
গেল পাঁচ বছরে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে দু'দেশের বাণিজ্যিক লেনদেন প্রায় ৪০০ কোটি ডলার। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মুক্তির পরও অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা ও ভালো বন্ধু এ দেশ থেকে আরও বিনিয়োগ পেলে হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য সম্পর্কে পৌঁছানো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল বুধবার অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফর করবেন কক্সবাজার রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবির।