গেল ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা শুরু হয়েছে। প্রায় ৮ মাস ধরে অবরুদ্ধ গাজায় ধংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। এতে ঘরবাড়ি, ব্যাংক, বীমাসহ আর্থিক সব প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
পুরো গাজা ঘুরেও এখন আর কোন ব্যাংক পাওয়া যায় না। যে দুই-একটি এটিএম বুথ রয়েছে, সেখান থেকে নগদ অর্থ উত্তোলনে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কেটে রাখা হচ্ছে। এছাড়া গ্রাহকদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার ভোগান্তি তো আছেই।
গাজাবাসীরা বলেন, ‘গাজায় কোন ব্যাংক না থাকায় নগদ অর্থের সংকট দেখা দিয়েছে। কারো অ্যাকাউন্টে যদি আড়াই লাখ ডলার থাকতো সহজেই তা তোলা যেতো, তবে যুদ্ধ শুরুর পর এখন আর কোন ব্যাংকই নেই। সব ব্যাংক ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইলি সেনারা।’
গাজায় নগদ অর্থ সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন অসংখ্য কর্মচারী। চাকরির বেতন তুলতে এটিএম বুথের সামনে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এছাড়া বেতনের প্রায় ৪ ভাগের একভাগ কমিশন হিসেবে কেটে রাখছে বুথগুলো।
একজন বলেন, ‘ফিলিস্তিন, জর্ডান, জেরুজালেমেও ব্যাংকের কোন শাখা নেই। দীর্ঘ আট মাস ধরে এ অবস্থা চলছে। ভাগ্যক্রমে কিছু ব্যবসায়ী ১০ থেকে ২০ শতাংশ সুদে নগদ অর্থ দিচ্ছেন।
এমন পরিস্তিতি চলতে থাকলে আগামী এক মাসে চাকরিজীবীদের বেতনের প্রায় অর্ধেকই কমিশন হিসেবে দিতে হবে বলে শঙ্কা গাজাবাসীর।
এদিকে গাজায় নগদ অর্থের সংকট নিয়ে কোন ধরনের ভ্রুক্ষেপ নেই ইসরাইলের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।