২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে বিশ্বের দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়। গত সপ্তাহে চীনা পণ্যে ১৮ বিলিয়ন ডলার শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপর থেকেই নতুন করে আলোচনায় আসে বিষয়টি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘চীনকে মার্কিন বাজার দখল করতে দেয়া যাবে না। আমেরিকান অটোমোবাইল এবং এর প্রস্তুতকারকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা গড়ে তুলতে হবে। চীন থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারির ওপর ২৫ শতাংশ এবং ব্যাটারি তৈরিতে ব্যবহৃত খনিজের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হবে।’
চীনের বৈদ্যুতিক যানবাহন, ব্যাটারি, ইস্পাত, চিকিৎসা সামগ্রী ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজের মতো কৌশলগত খাতগুলোতে শুল্ক বাড়িয়েছে ওয়াশিংটন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে ভোগ্যপণ্যের দাম ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি খুব একটা প্রভাবিত হবে না। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর বড় লাভ হবে। এর ওপর ভর করেই ট্রাম্পকে টেক্কা দিতে চান বাইডেন। কারণ, ট্রাম্পের আমলে চীনা পণ্যে শুল্কের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার।
দীর্ঘদিন ধরে ট্রাম্প সমালোচনা করে আসছেন, পররাষ্ট্রনীতি ও বৈদেশিক অর্থনীতি বিষয়ে বাইডেন প্রশাসন দুর্বল। তবে ট্রাম্পের চাপে শুল্ক মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি অস্বীকার করছে ডেমোক্র্যাট দল।
দেশটির ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুল্ক আরোপে কর্মসংস্থান তৈরি করতে না পারলেও ভোট টানতে সক্ষম রাজনৈতিক দলগুলো। প্রতিবেদনে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর কাল ২০১৮ ও ১৯ সালের চিত্র তুলে ধরা হয়। তখন শুল্ক আরোপে মার্কিন বাসিন্দাদের রিপাবলিকানদের প্রতি সমর্থন বেড়েছিল।
এদিকে চীনা শিল্প গোষ্ঠী বলছে, শুল্ক বৃদ্ধির এই পদক্ষেপ বৈশ্বিক অর্থনীতি ও বাণিজ্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি বাজে উদাহরণ। মুক্তবাজার অর্থনীতিকে কলঙ্কিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়গুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র রাজনীতি করছে। নতুন করে শুল্ক আরোপের মার্কিন সিদ্ধান্ত আরেকটি ভুল। যা মার্কিন ভোক্তাদেরকে খরচ আরও বাড়িয়ে দেবে।
শুধু পণ্যই না প্রযুক্তি হস্তান্তর, মেধাস্বত্ব ও উদ্ভাবন সংক্রান্ত বিষয়েও চীনা প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার পদক্ষেপ নিচ্ছে হোয়াইট হাউস।