আজ (রোববার, ১৯ মে) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ওভারসিস করেসপন্ডেন্টস বাংলাদেশ (ওকাব) আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট: ভবিষ্যত পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা নিন্দা জানিয়েছি। আর দেশটিতে দূতাবাস না থাকায় উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রদূত বিষয়টি দেখছে। তবে কোনো শিক্ষার্থী সিভিয়ার ইনজুরড হয়নি। তারা আমাদের জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে আমরা কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করছি। আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়েছি। আশা করছি, মামলার রায় আমাদের পক্ষে আসবে। মিয়ানমারের ওপর প্রভাব আছে এমন দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলছি। এখানে ভারত ও চীনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সঙ্গেও কাজ চলমান আছে। মিয়ানমারও আন্তর্জাতিক সমালোচনা থেকে মুক্ত হতে প্রত্যাবাসন শুরু করতে আগ্রহী। কিন্তু যেখানে ওদের নিরাপত্তাকর্মীরা আমাদের দেশে পালিয়ে আসছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাবো কিভাবে? রোহিঙ্গাদের জীবনমান বাড়ানো নয়, প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।’
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আবাসস্থল লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর চরম আতঙ্কে সময় পার করছেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখনও রাজধানী বিশকেকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।