নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালীতে বজ্রপাতে ৩ জন এবং হাজিপুর এলাকায় ১ জনের মৃত্যু হয়। এতে নারী ও শিশুসহ মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয় আরও ৩ জন।
স্থানীয়রা জানান, সকালে আলোকবালী গ্রামের ইমন মিয়া (১৪), সুফিয়া বেগম (৪৫) এবং কাইয়ুম মিয়া (২৭) মাঠে ধান কাটতে যায় পরিবারের আরও ৩ সদস্যকে নিয়ে। দুপুর বারোটার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে ৩ জন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় আহত হয় আরও ৩ জন।
নিহত সুফিয়া এবং ইমন সম্পর্কে মা-ছেলে। এদিকে একই সময় হাজিপুর এলাকায় মোসলেহ উদ্দিন (৫৫) নামে আরও একজন মারা যায়। স্থানীয়রা আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। নিহতদের মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা মাহমুদুল কবির বাশার বলেন, 'চার জনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। আহতরা চিতিৎসাধীন আছে।'
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) তানভির আহমেদ বলেন, 'নিহতদের মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।'
এদিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আজ সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের নুয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন, আফজাল হোসেন এবং মো. আমির হোসেন। তাদের বাড়ি দিনাজপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা সদরে। নিহতরা দুইজন সম্পর্কে খালাতো ভাই। ধান কাটার মৌসুম চলায় তারা টাঙ্গাইলে ধান কাটতে এসেছিলেন।
বীর বাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন জানান, সকালে কয়েকজন শ্রমিক হযরত আলীর ক্ষেতে ধানকাটতে যান। এ সময় গুড়িগুড়ি বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও চারজন।
তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।