পরিষেবা
অর্থনীতি
0

শ্রীমঙ্গলে নিলামে কমেছে চায়ের বিক্রি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দ্বিতীয় চা নিলামে চায়ের দাম কমেছে দ্বিগুণের বেশি, কমেছে বিক্রিও। এ নিলামে ৩০ ভাগেরও কম চা পাতা নিলামে বিক্রি হয়েছে। ভরা মৌসুমে চায়ের গুণগতমান ভালো না থাকায় দাম পাওয়া যাচ্ছে কম।

চা বোর্ড চায়ের সর্বনিম্ন মূল্য মানভেদে ধরে দেয়ার পরও ঘুরে দাঁড়াতে পারছেনা চা শিল্পটি। সমস্যা পিছু ছাড়ছে না। চায়ের দাম বেঁধে দেয়ায় আশায় বুক বেঁধেছিলেন বাগান মালিকরা। কিন্তু অনাবৃষ্টিতে চা বাগানে দেখা দিয়েছে নানা রোগ। দ্বিতীয় নিলামে ভালো পাতা না থাকায় দামও ভালো পাওয়া যায়নি। অনেক বায়ার চা পাতা কেনেননি।

ব্রোকার্স ও বায়াররা বলেন, শ্রীমঙ্গল শহরের চায়ের যে চাহিদা সে পরিমাণ চা নিলামে নাই। আর এই নিলামে চায়ের গুণগতমান খুব একটা ভালো না। এখন যে রাউন্ড চলছে তাতে চা সাধারণত ভালো হয় না। বেশিরভাগ চা ব্রাউন ও হালকা।

যদিও প্রথম নিলামে নতুন ভালো পাতা ওঠায় দাম কিছুটা ভালো পাওয়া যায়। আর এ নিলামে দ্বিগুণের চেয়েও বেশি কমেছে চায়ের দাম। এজন্য চায়ের গুণগতমানকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা ছাড় দিয়েও বিক্রি হচ্ছে না।

শ্রীমঙ্গল টি ব্রোকার্স লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মো. হেলাল মিয়া বলেন, 'খরার কারণে চায়ের দাম কমে আসছে। চা বোর্ডের নির্ধারিত দাম অনুযায়ী চা বিক্রি হচ্ছে না।'

চা বাগান মালিকরা বেঁধে দেয়া দামে খুশি হলেও মানসম্পন্ন পাতা তৈরিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আবহাওয়া চা উৎপাদনে অনুকূল না থাকায় এমন বলে দাবি তাদের। তবে ঘুরে দাঁড়াতে আশাবাদী তারা।

ক্লোনেল চা বাগানের ম্যানেজার রনি ভৌমিক বলেন, 'সরকার দাম নির্ধারণ করে দেয়ায় আমরা ন্যায্যমূল্যে পাবো। আশা করছি যে গতবছর থেকে এ বছর দাম ভালো থাকবে।'

শ্রীমঙ্গল টি ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম এন ইসলাম মুনির বলেন, 'আমি মনে করি চা শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াবে। যদি ভালো মানের চা উৎপাদন করা যায় তবেই পরিবর্তন করা সম্ভব।'

প্রথম নিলামে ৩টি ব্রোকার্স হাউজের ৮৫ হাজার ৪০৬.৪০ কেজি চা নিলামে উঠে। যেখান থেকে বিক্রি হয়েছে মাত্র ১৭ হাজার ৯৭৪.২০ কেজি। গড় মূল্য ছিল ২৬৪ দশমিক ৮৪ টাকা। গত নিলামে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয় ব্ল্যাক টি ৬২০ টাকা ও গ্রিন টি ১০০০ টাকা।

আর বুধবার ৩টি ব্রোকার্স হাউজের ৪৬ হাজার ৪০৬ কেজি চা নিলামে উঠলেও মাত্র বিক্রি হয়েছে ১৩ হাজার কেজির কিছু উপরে। অথচ এদিন ব্লাকটির সর্বোচ্চ কেজি ছিল মাত্র ২৬০ টাকা ও গ্রিন টি ১০০০ টাকা।

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর
শ্রীমঙ্গলের মঙ্গলচণ্ডী মন্দিরে মেলা, অর্ধকোটি টাকার বেচাকেনার আশা

রাজধানীতে সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি

সমতলের চা শিল্প বাঁচাতে আন্দোলনে ক্ষুদ্র চা চাষিরা

চা উৎপাদনে সব সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

চায়ের মান না বাড়ায় বৈশ্বিক বাজারে প্রসার বাড়ছে না
চায়ের মান না বাড়ায় বৈশ্বিক বাজারে প্রসার বাড়ছে না

চা’কে আন্তর্জাতিক পানীয়র মর্যাদা জানানোর আবেদন

৭৫ বছরের ইতিহাসে প্রথম চায়ের দাম নির্ধারণ
৭৫ বছরের ইতিহাসে প্রথম চায়ের দাম নির্ধারণ

রেকর্ড উৎপাদনেও স্বস্তিতে নেই চা শিল্পে

মৌসুমের শেষভাগে মিলছে না ভালো মানের চা

চা উৎপাদনে বাংলাদেশের রেকর্ড

চা পাতায় রঙ, কারখানা মালিককে জরিমানা

বার্ধক্য রোধ করতে পারে শীতকালীন সবজি