আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

অবৈধপথে আসা চিনির প্রভাবে খাতুনগঞ্জে কমেছে দাম

বিদেশ থেকে অবৈধপথে দেশের বাজারে ঢুকছে চিনি। এছাড়া ঈদের পর কমেছে চাহিদাও। যার কারণে দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে কমতে শুরু করেছে চিনির দাম। প্রতিমণে কমেছে অন্তত ৩শ' টাকা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে অপরিশোধিত চিনি আমদানি করে। তবে পরিবহন সুবিধা ও খরচ কম হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে ভারত নির্ভরতা বেড়েছে। এ অবস্থায় কিছুদিন ধরে ভারত চিনি রপ্তানি বন্ধ রাখে। এতে দেশিয় বাজারে কিছুটা দাম বেড়ে যায়। এই সুযোগে পাশের দেশ ভারত থেকে অবৈধপথে চিনি আনতে শুরু করে চোরাকারবারিরা।

সম্প্রতি ভারত থেকে অবৈধপথে আনা বেশ কয়েকটি চালান ধরা পড়ে। এর প্রভাব পড়ছে বাজারে। এতে আপাত দৃষ্টিতে বাজারে কিছুটা দাম কমে আসলেও দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশিয় বাজার ব্যবস্থা।

বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সপ্তাহ আগেও দেশের বাজারে পাইকারিতে চিনি বিক্রি হয়েছে মণপ্রতি ৪৭০০ থেকে ৪৭৩০ টাকা। তবে এখন মণপ্রতি ১০০ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৪,৬৩০ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে প্রতি মণে কমেছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে পাইকারিতে প্রতি কেজি চিনির দাম ১২৩ থেকে ১২৪ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে চিনির চাহিদাও কিছুটা কমেছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত আছে সরবরাহও।

এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে চিনির দাম। এছাড়া চোরাই পথে ভারতীয় পরিশোধিত চিনি বাজারে আসায় দাম কমতির দিকে বলছেন ব্যবসায়ীরা।

এক্ষেত্রে সরকারের রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি চিনি আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে মনে করেন খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সগীর আহমদ।

বাংলাদেশে প্রতি বছর চিনির চাহিদা ২০ থেকে ২২ লাখ টন। দেশিয় উৎপাদিত চিনি দিয়ে চাহিদার ১ শতাংশও পূরণ হয় না। ফলে চাহিদার পুরোটাই আমদানি করতে হয়।