স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যে জানা গেছে, দেশে এখন পর্যন্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৫ কোটি ৬২ লাখ ৮০ হাজার ডোজ দেয়া হয়েছে।
৭ মে টেলিগ্রাফে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববাজার থেকে কোভিড-১৯ এর টিকা তুলে নিচ্ছে ওষুধ প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এই কোম্পানির টিকা ব্যবহৃত হচ্ছে না ইউরোপীয় ইউনিয়নে। অন্যান্য ভ্যাক্সিন সহজলভ্য থাকায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনার টিকা উৎপাদন ও বিক্রি করবে না বলে জানিয়েছে ফার্মাসিউটিক্যালস প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, কোভিশিল্ডের মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এটি স্বীকারও করেছে খোদ টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
গেল ফেব্রুয়ারিতে আদালতে জমা দেয়া নথিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের তৈরি করোনা টিকার কারণে খুব বিরল থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম এর ঘটনা ঘটতে পারে। যার ফলে মানুষের রক্তে প্লাটিলেট কমে যায় এবং রক্ত জমাট বেঁধে যায়।
এ ঘটনার পরই বিশ্বব্যাপী তুমুল সমালোচনার মুখে কোভিড টিকা তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয় অ্যাস্ট্রাজেনেকা। বিবৃতিতে কোম্পানি জানিয়েছে, কোভিড ভ্যাকসিন আর তৈরি করা হচ্ছে না। এর সরবরাহও হচ্ছে না। বাণিজ্যিক কারণেই সংস্থাটি সব দেশ থেকে করোনা টিকা প্রত্যাহার করে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সারাবিশ্বে অ্যাস্ট্রাজেনেকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে যখন তুমুল আলোচনা চলছে, সেই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে সরকারের অবস্থান কী! জানতে চাইলে এ বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, ‘এই টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এ সময় মন্ত্রী ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। চিকিৎসা দিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়, এর উৎস বন্ধ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ডেঙ্গুতে তিনি তার মাকে হারিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, আর কারো মা কিংবা সন্তানকে যাতে না হারাতে হয় সে লক্ষ্যে কাজ করছেন তারা। এছাড়া ডেঙ্গুর চিকিৎসায় কোন ধরণের ওষুধ কিংবা স্যালাইন সংকট যাতে না হয় সে লক্ষ্যে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।